পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৩

যুরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি ? S8S কিন্তু প্ৰকৃতিকে জানিবার এবং বাগ মানাবার প্রবৃত্তি সাৰ্থক হয়েছে এই জন্য যে, কি উপায়ে তাকে জানা যায়, সে পদ্ধতি গ্ৰীকরা উদ্ভাবন করে; তারপর কি উপায়ে মানুষের উপর। প্ৰভুত্ব লাভ করা যায়, তার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে রোমানরা। তারপর মধ্যযুগে যুরোপীয়েরা পরলোক জয় করবার জন্য যে আত্মশক্তি সঞ্চয় করে, সেই শক্তিই এ যুগে তারা ইহলোক জয় করবার কাৰ্য্যে প্রয়োগ করেছে। অর্থাৎ গ্রীকদের জ্ঞান, রোমানদের কৰ্ম্ম, এবং মধ্যযুগের ভক্তি, এই তিনে মিলেমিশে বর্তমান technical civilisationএর সৃষ্টি করেছে। অতএব যুরোপীয় সভ্যতাকে একটি ভগবদগীতা বলা যায়। কারণ, জ্ঞান-কৰ্ম্ম-ভক্তির সমন্বয়ে এই মহাকাব্য রচিত হয়েছে ; এবং বৰ্ত্তমানে যুরোপের পঙ্ককষায় মন থেকেই technical civilisation) উদ্ভূত হয়েছে। এই হচ্ছে যুরোপীয় আত্মার চরম পরিণতি । এই কথাটা বুঝতে পারলেই যুরোপের জাতিসমূহ ভবিষ্যতে আর পরস্পর মারামারি কাটাকাটি করবে না। একেই বলে জ্ঞানে भूख् ि। qथन জিজ্ঞাস্য হচ্ছে, তবে প্ৰলয়ের আশঙ্কার কারণ কি ? এখন এ বিষয়ে একটি ফরাসী লেখকের মতামত শোনা যাক । (Nation et Civilisation, par Lucien Romier). Lucien Romier বিজ্ঞান কিংবা দর্শনের আচাৰ্য্য নন, তিনি এক জন প্ৰবন্ধলেখক সাহিত্যিক মাত্র ; সুতরাং পূৰ্ব্বোক্ত জৰ্ম্মাণ অধ্যাপকের কথার অপেক্ষা, ফরাসী সাহিত্যিকের কথা ঢের বেশী সহজবোধ্য। জড়ানো হাতের লেখার সঙ্গে ছাপার অক্ষরের যে প্ৰভেদ, জৰ্ম্মাণ পাণ্ডিত্যের রচনার সঙ্গে S\9