পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯০

RBy बॉन 6 যুরোপ য়ুখন গ্ৰীক সাহিত্যের ও রোমান রাজনীতির সন্ধান পেলে, তখন মধ্যযুগের সভ্যতার অবসান হ’ল ; যেমন এ যুগে আমরা যুরোপের জ্ঞানমার্গ ও কৰ্ম্মমার্গের সন্ধান পেয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের অবলম্বিত ভক্তিমাৰ্গ ত্যাগ করেছি। তবে য়ুরোপীয় পণ্ডিতদের মতে, যুরোপীয় মানবের ধৰ্ম্মজ্ঞান ও নীতিজ্ঞান মধ্যযুগের সৃষ্ট। কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যে নয়। যুরোপের নব ধৰ্ম্ম ডিমোক্রাসির মূল গ্ৰীকদর্শন নয়, নব বিজ্ঞানও নয়। যে মনোভাবের উপর ডিমোক্রাসি প্রতিষ্ঠিত, সে মনোভাবের স্রষ্টা হচ্ছেন যিশুখৃষ্ট । এর থেকে দেখা যায় যে, কোন জাতিবিশেষ যে অংশে সভ্য, সে অংশে অমর। শুধু তাই নয়, যে-ই সত্যের সন্ধান পাৰ না কেন, সে সত্য সর্বসাধারণের সম্পত্তি। গ্ৰীক জাতি মারা গেল, কিন্তু তার দর্শনবিজ্ঞান সাহিত্যের উত্তরাধিকারী হ’ল বিশ্বমানব । রোমান জাতি বিনষ্ট হ’ল, কিন্তু য়ুরোপের তিৰ্য্যৰূ-সামান্য অসভ্য জাতির মধ্যযুগের সভ্যতা গ’ড়ে তুললে, গ্ৰীক ও রোমান সভ্যতার সাহায্যে। মধ্যযুগের ব্ৰহ্মবিদ্যা ( theology ) গড়ে উঠেছে •আরিষ্টটলের দর্শনের ভিত্তির উপর ; ESS Og খৃষ্টসঙ্ঘ (church ) 2ï'(\o উঠেছে রোমান রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুকরণে । ( S8 ) সভ্যতা বলতে অধিকাংশ লোকে দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও আর্ট বোঝে না-বোঝে। অর্থ ও স্বাৰ্থ ; এবং তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুলও নয়। অর্থ ও কাম, প্ৰবৃত্তিরেষা নিরাণাম। এবং যে সমাজে মানুষের এ দুটি প্রবৃত্তি - চরিতার্থ না হয়, সে সমাজ কখনই চিরস্থায়ী হ’তে পারে না।