পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भूgब्रांौशनडाऊ वख कि ? २8* মাকে আমরা material civilisation বলি, সে বস্তু হচ্ছে সকল সভ্যতার যুগপৎ আধার ও ফল। না খেয়ে পরে’ মানুষ যে বঁাচতে পারে না-এ কথা কে না জানে ? আমাদের পূর্বপুরুষরাও উপবাসী হয়ে হিন্দু সভ্যতা গড়তে পারেন নি। এ হিসাবে *(3i(°3 <oéair material civilisation অবজ্ঞার বস্তু নয় । ংস্কৃতে একটি বচন আছে, যা সৰ্ব্বলোকবিদিত-“আজরামরবৎ প্রাজ্ঞ বিদ্যামর্থঞ্চ চিন্তয়েৎ ” এই অর্থগত সভ্যতা গড়বার বিদ্যা গ্রীসেরও জানা ছিল না, রোমেরও জানা ছিল না। উভয় জাতিই পরস্ব অপহরণ করেই নিজের স্বাৰ্থ বজায় রাখতেন। গ্ৰীক সভ্যতা দাড়িয়ে ছিল দাসের কৰ্ম্মশক্তির উপর ; আর রোমক সভ্যতা অপর দেশ লুঠতরাজের উপর। ফলে উভয় সভ্যতারই ভিত নেহাৎ কঁাচাই ছিল। বৰ্ত্তমান যুরোপ, যে বিদ্যার বলে মানুষে অর্থ সৃষ্টি করতে পারে, সে বিদ্যা অর্জন করেছে। এ হিসাবে Scienceাকেই য়ুরোপীয় মনের চরম পরিণতি বলা অত্যুক্তি নয়। কিন্তু গ্রীক দৰ্শন ও রোমান আইন যেমন দুই সভ্যতার একচেটি first r-fair (43 its ; (Saif modern sciences 46, to যুরোপের একচেটে জিনিষ নয়। এ বিদ্যা বিশ্বমানব শিখবে, এবং ফলিত বিজ্ঞানও বিশ্বমানবের করায়ত্ত হবে। ফলে এ বিষয়েও যুরোপের বর্তমান প্ৰাধান্য আর থাৰুবে না । যুরোপীয় অর্থে, এসিয়াও সভ্য হবে। এর জন্য য়ুরোপেৰ ভয় পাবার কোনও দরকার নেই। কোনও সভ্যসমাজকে কোনও সভ্যসমাজ বিনাশ করেনি। সভ্যতার প্রধান শক্ৰ যে অসভ্যতা, যুরোপ ও এসিয়ার ইতিহাসের পাতায় পাতায় তা লেখা আছে।