পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&08 নানা চৰ্চা জাতিদের মধ্যে সব চাইতে অসভ্য” । আমনি আমরা অস্থির হয়ে উঠেছি। এ কথায় কিন্তু বিচলিত হবার কোনও কারণ আমি দেখতে পাই নে। William Archer-এর মত যদি সত্য বলেই ধরে নেওয়া যায়, তাতেই বা ক্ষতি কি ? আমরা যদি সভ্যতার মধ্যপথ অবলম্বন করে” থাকি, তাহ’লে তা আমরা আরিষ্টটলের মতে ঠিক পথই ধরেছি, বৌদ্ধ মতেও তাই। আর সেকেলে দর্শন যদি বাতিল হয়ে গিয়ে থাকে, তাহ’লে বলি হেগেলের মতেও দাড়ায় এই যে, সভ্যতা (thesis) + অসভ্যতা (antithesis) = সভ্যাসভ্যতা ( synthesis ), অর্থাৎ আমাদের সভ্যাসভ্যতাটা &(22 synthetic civilisation, o(\sq<! সর্বশ্রেষ্ঠ । বেশি অসভ্য ३७ যে ভাল নয়, সে ত পুরানো সত্য ; আর বেশি সভ্য হওয়াও যে মারাত্মক, এই নতুন সত্য ত ইউরোপে হাতে হাতে প্রমাণ হ’য়ে গেল। এক দিকে সভ্যতা আর এক দিকে অসভ্যতা, এই দুই চাপের ভিতর পড়াটা অবশ্য সুখের অবস্থা নয় ; কিন্তু আমাদের বাৰ্ত্তমান অবস্থা যে সুখের অবস্থা, এমন কথা আর যেই বলুক, আমরা ত কখনো বলিনে। আর এক কথা, কি সভ্যতা কি অসভ্যতা এ দু’য়ের কোনটিরই ভিতর মানুষের শান্তি নেই,-না দেহের না মনের । যারা নিজেদের অসভ্য বলে জানে, তারা সভ্য হবার জন্য লালায়িত হয় ; আর যারা নিজেদের সভ্য বলে জানে, তারা স্বাভাবিক হবার জন্য লালায়িত হয়। পুরাকালে ভারতবর্ষ যখন অতি সভ্য হ’ল, তখন ভারতবাসী সভ্যতার শিৰূলি কেটে বনে যাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠল ; এবং একই অবস্থায় একই কারণে, গ্ৰীৰূরা হলো ফিলজফার আর রোমানরা খৃষ্টান। তারপর