পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 भांनl b6 ছিল। সেই সমুদ্রই আরবী জবানে রূপান্তরিত হয়ে সুমাত্রা হয়েছে, এবং এই নতুন নামেই ও-দ্বিীপ ইউরোপীয়দের কাছে পরিচিত। আর একালের জিওগ্রাফিতে প্ৰসিদ্ধ । ইউরোপীয় পণ্ডিতরা বলেন যে, প্ৰাচীন হিন্দুদের ভূগোলের জ্ঞানের দৌড় ঐ ব্যবদ্বীপ পৰ্য্যন্ত ছিল। তার পূর্বে যে আর কোন দেশ আছে, তা তারা জানতেন না—তাই তারা যবন্দ্বীপ অতিক্রম করে যে শিশির পৰ্ব্বতের উল্লেখ করেছেন, সে পৰ্ব্বত র্তাদের ষোল-আন মনগড়া। আমি প্ৰথমত ইউরোপীয় নই, দ্বিতীয়ত পণ্ডিত নই ; সুতরাং তাদের কথা আমি নতমস্তকে মেনে নিতে বাধ্য নাই । যবদ্বীপ অতিক্রম করে যে দ্বীপটি পাওয়া যায়, তার নাম বলীদ্বীপ ; এবং তার অন্তরে যে পৰ্ব্বত আছে, সে পর্বতকে শিশির বলা ছেরেফ কবিকল্পনা নয়। কেননা যার এক একটি শৃঙ্গ দশ হাজার ফিটের চাইতেও উচু, সে পর্বতকে কিছুতেই গ্রীষ্মপৰ্ব্বত বলা যায় না-যদি কিছু বলতে হয় ত শিশির বলাই সঙ্গত । শুনতে পাই উক্ত দ্বীপপুঞ্জ চির-বসন্তের দেশ । সুতরাং সে দেশের পাহাড়ে শীত হবারই কথা । আর সে পর্বত দেব-দানব সেবিত বলবার অর্থ-সেখানে মানুষের বসতি নেই । হনুমানকে সীতার খোজে আরও অনেক স্থানে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে সব দেশ যে রূপকথার দেশ, সে বিষয়ে কোন ও সন্দেহ নেই। যে দেশে মানুষের কোন হাতীর কানের মত বড় ; ও যে দেশে মানুষের কোন উটের কানের মত ছোট ; আর যে দেশে মানুষের পা দুটো নয়, একটা মাত্র, অথচ সেই এক পায়ে তারা খুব ফুৰ্ত্তি করে চলে ; সে সব দেশেও হনুমানকে ভ্ৰাম্যমান হবার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ সব দেশের