পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনু-হিন্দুস্থান 86 কোনও নাম বলা হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, যে-সব দেশের নাম হিন্দুরা জানত না, সেই সব দেশ সম্বন্ধে তাদের কল্পনা খেলত। যে দেশের নাম তারা জানত, সে দেশের রূপও তারা চিনত। সে যাই হোক, বলীদ্বীপেরও নাম যখন সংস্কৃত, তখন সে নামকরণ যে হিন্দুরাই করেছিলেন, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। আর খৃষ্ট-জন্মের পূর্বেও যে হিন্দুরা বলীদ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন, তারও কিছু কিঞ্চিৎ প্ৰমাণ আছে ! এই দ্বীপপুঞ্জে উপনিবেশ স্থাপন হিন্দু জাতির ইতিহাসের একটি উজ্জল অধ্যায়। সে ইতিহাস আমি আজ তোমাদের শোনাব না ; কারণ সে মন্ত লম্বা ইতিহাস। হিন্দুজাতির মহা গৌরবের কথা এই যে, হিন্দুরা এই দ্বীপবাসী অসভ্য জাতদের সভ্য করে তুলেছিলেন। এ দেশের লোক পূৰ্ব্বে যে কিরকম ঘোর অসভ্য ও ভীষণপ্রকৃতির লোক ছিল, তা রামায়ণে দ্বীপবাসীদের বর্ণনা থেকেই অনুমান করা যায়। তারা ছিল “আমমীনাশনঃ” অর্থাৎ তারা কাচা মাছ খেত। তাতে কিছু যায় আসে না ; কেননা সুসভ্য জাপানীরা আজও তাই খায়। বাল্মীকি শুনেছিলেন যে, তারা “অন্তর্জলচরা ঘোরা নরব্যাম্রাঃ”। নরশাৰ্দল অবশ্য আমরা বীরপুরুষদেরই বলি, কিন্তু “নরব্যাস্ত্ৰ” বলতে বীরপুরুষ বোঝায় না, বোঝায়। সেই জাতীয় পুরুষদের, যারা “অক্ষয়া বলবন্ত পুরুষা পুরুষদেকা”—ইংরাজীতে যাকে বলে Cannibals । এই হেমাঙ্গ কিরাতের দল ছিল সব ক্যালিবানের দাদা ক্যানিবল । শ্ৰীবিজয় রাজ্যের অর্থাৎ সুমাত্রার ইতিহাস-লেখক জনৈক ফরাসী পণ্ডিত বলেছেন যে,-