পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 नांना प्रुफ्रें! ছিল যে, যে-দেশের মহাকাব্যের শ্লোক-সংখ্যা হচ্ছে শত সহস্ৰ, সে দেশের গীতিকাব্যের শ্লোক-সংখ্যা হবে অন্ততঃ এক সহস্ৰ । Andre Gide ংস্কৃত জানেন না, যদি জানতেন ত তিনি মহাভারতের গোড়াতেই দেখতে পেতেন যে, লোমহর্ষণ-পুত্ৰ উগ্ৰশ্ৰবা বলেছেন যে, বর্তমান মহাভারত হচ্চে মূল মহাভারতের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ । “বিস্তীৰ্য্যেতন্মহেজ জ্ঞানমূষি সংক্ষিপ্য চাব্ৰবীৎ’। লোমহর্ষণ-পুত্রের এ কথা শুনলে Gide সাহেবের যে শুধু লোমহর্ষণ হত তাই নয়-তিনি হয়ত মূচ্ছিত হয়ে পড়তেন। ইউরোপীয়েরা হোমারের ইলিয়াডের পরিমাণকেই মহাকাব্যের Standard মাপ ধরে নিয়েছেন। কিন্তু গ্ৰীস নামক ক্ষুদ্র দেশের পরিমাণের সঙ্গে, ভারতবর্ষ নামক মহাদেশের পরিমাণের তুলনা করলেই তারা বুঝতে পারবেন, কেন ইলিয়াডের মাপের সঙ্গে মহাভারতের মাপ মেলে না ও মিলিতে পারে না । কিন্তু ভৌগোলিক হিসেব অনুসারেই যে কাব্যের দেহ সন্ধুচিত ও প্রসারিত হতে হবে, এ কথা তারা মানতে প্ৰস্তুত নন। তারা বলেন, মানচিত্রের সঙ্গে মন-চিত্রের কোন কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধ নেই। অতএব মহাভারত যখন কাব্য, তখন নৈসৰ্গিক নিয়মে তা এতাদৃশ মহাকায় হতে পারে না। কাব্যের কথা ছেড়ে দিলেও কাব্যরচয়িতা কবির তা দম বলে একটা জিনিষ আছে । কোনও কবি একদমে মহাভারতের অষ্টাদশ পর্বের পাল্লা ছুটতে পারতেন না। এর থেকে অনুমান করা যায় যে, মহাভারতের মধ্যে অধিকাংশ শ্লোকই প্ৰক্ষিপ্ত । এর উত্তর হচ্ছে, ইউরোপীয় পণ্ডিতরা ঐ কাব্য নামেই ভুলেছেন। মহাভারত কাব্য নয়, মহাভারত হচ্ছে একটি Encyclopaedia ; সুতরাং