পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ नन्न 56 এমন কি রামায়ণের উত্তরকাণ্ড যে বাল্মীকির লেখনীপ্রসূত নয়-সে বিষয়েও সন্দেহ নেই। ( ) o ) মহাভারতকে এরকম দ্বিধাবিভক্ত করা নেহাৎ গোয়ারতুমি নয় । সত্যসত্যই দুটি আধখানিকে গ্রথিত করে।” মহাভারত নামে একখানি গ্ৰন্থ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ চিরকালই রয়ে যাবে, কেননা মহাভারত সংক্রান্ত বড় বড় আবিষ্কার সম্বন্ধে সমান সন্দেহ রয়ে গেছে। একটি छूछेड छेि । Dahlmann নামক জনৈক ধনুধরি জৰ্ম্মাণ পণ্ডিত আজীবন গবেষণার ফলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, মহাভারত খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত হয়েছে। অপর পক্ষে Holtzmann নামক অপর একটি সমান ধনুধার জন্মাণ পণ্ডিত আজীবন গবেষণার ফলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হ’য়েছেন যে, মহাভারত খৃষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, এই উভয় আবিষ্কারই যুগপৎ সমান সত্য হতে পারে না । ফলে এর একটিও সত্য কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ লোকের মনে থেকেই যায়। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও জৰ্ম্মাণ পণ্ডিতদের প্রতি ভক্তি কারও কমেনি। বিদ্বান ব্যক্তিদের পদানুসরণ করেই আমি আমার মত ব্যক্ত করছি। সে মত র্যার খুসী গ্ৰাহ করতে পারেন, যার খুসী অগ্ৰাহ্য করতে পারেন ; শুধু আমার মতকে সম্পূর্ণ গাঁজাখুরি মনে করবেন না। আমার মত আমি শূন্যে খাড়া করিনি। এ সত্যের মূল মহাভারতের ভিতরেই আছে। আপনাদের পূর্বে বলছি যে, পুরাকালে ভারত-কাব্যের অপর নাম ছিল জয়কাব্য ; অর্থাৎ,