পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo Tari 56 ( ܘܢ ) বৌদ্ধধৰ্ম্মের জন্মভূমিতে তার মৃত্যু হলেও, আজও তা কোটি কোটি এসিয়াবাসীর ধৰ্ম্ম । শ্যাম, সিংহল, ব্ৰহ্মদেশ, তিব্বত, চীন, জাপান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া প্ৰভৃতি দেশের লোকে আজও বুদ্ধদেবের পূজা করে, ও নিজেদের বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী বলেই পরিচয় দেয়। ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা হয় সমুদ্রের, নয় হিমালয়ের অপর পারের দেশসকল থেকেই এ দেশের এই লুপ্ত ধৰ্ম্মের শাস্ত্ৰ-গ্ৰন্থসকল উদ্ধার করেছেন, এবং তঁদের বই পড়েই আমরা বুদ্ধ, “বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও বৌদ্ধসঙ্ঘ সম্বন্ধে নূতন জ্ঞান লাভ করেছি । সিংহলেই সর্বপ্রথম বৌদ্ধশাস্ত্ৰ আবিষ্কৃত হয়, আর পণ্ডিত-সমাজে অদ্যাবধি এই সিংহলী বৌদ্ধধৰ্ম্মই স্বয়ং বুদ্ধের প্রচারিত ধৰ্ম্ম বলেই গ্ৰাহ। সিংহলের মঠে মন্দিরে সযত্নে রক্ষিত বৌদ্ধধৰ্ম্মের আদি গ্রন্থগুলি সিংহলী ভাষায় নয়, পালি ভাষায় লিখিত । এই পালি ভাষা যে ভারতবর্ষের একটি প্ৰাকৃত, সে বিষয়ে বিন্দুমাত্ৰ সন্দেহ নেই ; যদিচ সেটি যে ভারতবর্ষের কোন প্রদেশের ভাষা, উত্তরাপথের না। দক্ষিণাপথের, বঙ্গের না কলিঙ্গের, মগধের না মালবের - সে বিষয়ে পণ্ডিতের দল আজও একমত হতে পারেন নি । সিংহলে যে শুধু বৌদ্ধধৰ্ম্ম রক্ষিত হয়েছে, তাই নয়-উক্ত ধৰ্ম্মের জন্মবৃত্তান্ত ও তার সিংহলে প্রচারের ইতিহাসও রক্ষিত হয়েছে। সুতরাং এই সিংহলী শাস্ত্ৰই হচ্ছে। এ যুগের ইউরোপীয় বৌদ্ধ-শাস্ত্রীদের মতে - সর্বাপেক্ষা প্ৰাচীন, অতএব সর্বাপেক্ষা প্ৰামাণ্য দলিল। এবং এই শাস্ত্ৰ