পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

388 कभी-कशी । লোভ ছিল, এবং তঁরা ব্ৰাহ্মণদের তন্তর-মন্তর-যাদুতে বিশ্বাস করতেন। “ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ”-এ যে সাম্রাজ্যের উল্লেখ আছে তা ক্ষত্ৰিয়ের বাহুবল, বুদ্ধিবল ও চরিত্রবল দ্বারা নয়—ব্রাহ্মণের মন্ত্রবলের দ্বারা লাভ করবার বস্তু। কারণ শত্রু নাশের জন্য তাদের যুদ্ধ করা আবশ্যক হ’ত না, ব্ৰহ্ম-পরিমর-কৰ্ম্ম প্রভৃতি অভিচারের দ্বারাই সে কামনা সিদ্ধ হ’ত। এই অতীত সাহিত্যের ভিত্তির উপর যদি ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ ঐক্যের প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে আমাদের মনোজগতের গন্ধৰ্বপুরী চিরকাল আকাশেই বুলবে। আমরা ইউরোপীয় সভ্যতার নূতন মদ নিত্যই সংস্কৃত সাহিত্যের পুরোনো বোতলে ঢালছি। আমরা Spencer-এর বিলেতি মদ শঙ্করের বোতলে ঢালি, Comte-এর ফরাসি মদ মনুর বোতলে ঢালি, এবং তাই যুগসঞ্চিত সোমরস বলে’ পান করে” তৃপ্তিও লাভ করি, মোেহও প্রাপ্ত হই। কিন্তু এই ঢালাঢালি এবং ঢলাঢলিরও একটা সীমা আছে। Bismarck-এর জৰ্ম্মান মদ ব্ৰাহ্মণের যজ্ঞের চমসে ঢালতে গেলে আমরা সে সীমা পেরিয়ে যাই। ও-হাতায় এ জিনিষ কিছুতেই ধরবে না। ’ ইংরাজি শিক্ষার প্রসাদে আমরা ব্ৰাহ্মণ-সাহিত্যের আধিদৈবিক ব্যাপার সকলের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যার চেষ্টা করতে পারি, এবং চাই কি তাতে কৃতকাৰ্যও হতে পারি,—কিন্তু শুধু ইংরাজি শিক্ষা নয়, তদুপরি ইংরাজি ভাষার সাহায্যেও তার “আধিরাষ্ট্রক” ব্যাখ্যা করতে পারিনে।

  • ( ( . )

এতদিন, প্রাচীন ভারতের নাম উল্লেখ করবামাত্রই, বৰ্ণাশ্ৰম ধৰ্ম্ম, ধ্যান ধারণা নিদিধ্যাসন, এই সকল কথাই আমাদের স্মরণ