পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউরোপে কুরুক্ষেত্ৰ dsd জনসাধারণের মনে সমগ্ৰ জাৰ্ম্মানী সম্বন্ধে আজও দেশাত্মজ্ঞান জন্মলাভ করে নি। এতদ্ব্যতীত জাৰ্ম্মানদের মনে স্বজাতিবাৎসল্য হয় অতি সঙ্কীর্ণ, নয় অতি উদার। হয় তা নিজের দলের মধ্যে আবদ্ধ, নয় তা বিশ্বমানবের ভিতর ব্যাপ্ত। Prince Bulow-র মতে জাৰ্ম্মানীর ইতিহাস জাৰ্ম্মান জাতিকে স্বায়ত্ত-শাসনের পক্ষে অনুপযুক্ত করে ফেলেছে। যদি প্রজাসাধারণের হাতে রাজ্যশাসনের ভার পড়ে, তাহ’লে জাৰ্ম্মানসাম্রাজ্য দুদিনেই আবার ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়বে। অতএব প্রশিয়ার রাজা, রাজকৰ্ম্মচারী ও সৈন্যবলের সহায়তায় জাৰ্ম্মানসামাজ্য আজও শাসন করছেন এবং চিরদিন করবেন । রাজশক্তি অবাধ এবং অক্ষুন্ন রাখাই জাৰ্ম্মান-রাজনীতির মূলমন্ত্র। পঞ্চমত-জাৰ্ম্মানীর জনসাধারণ সম্পূর্ণ নিরাপদ নহে। জাৰ্ম্মানীতে অবশ্য দসু্যাভয় নেই, কিন্তু রাজভয় আছে। প্রজাসাধারণের উপর রাজকৰ্ম্মচারীদের, বিশেষত সেনাধ্যক্ষদের অবৈধ অত্যাচারের উপযুক্ত বৈধ শাস্তি নেই। ষষ্ঠত-জাৰ্ম্মান-সাম্রাজ্য যুদ্ধের উপর প্রতিষ্ঠিত, শান্তির উপর নয়। জাৰ্ম্মান-কর্তৃপক্ষদের মতে যুদ্ধ পুণ্যকাৰ্য, পাপ নয়। জাৰ্ম্মানীর সৈনিক সাধারণ-মানব নয়, কিন্তু তার অপেক্ষা অনেক উচ্চশ্রেণীর জীব। জাৰ্ম্মানীতে অস্ত্ৰধারণ করা কীৰ্ত্তব্যও বটে, ch: C-3 (tats 45 Might is right (অর্থাৎ বাহুবলই ধৰ্ম্মবল) এই মতের ভিত্তির উপর জাৰ্ম্মান-সাম্রাজ্য अडिछैिऊ । এই কারণেই জাৰ্ম্মান-সাম্রাজ্যের অভু্যুদয় ইউরোপের সভ্য সমাজে বর্বরতার পুনরভু্যদয় বলে গণ্য। ইংলণ্ড ও ফ্রান্স ইউরোপের নব-সভ্যতার স্রষ্টা। আশা করি এই বর্বরতার