পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G& भांन-फैथ । আমাদের চোখের সুমুখে থাকে, তার দিকে আমরা বড় একটা দৃষ্টিপাত করিনে। ঐ কারণেই বর্তমানের চেহারা আমাদের চোখে পড়ে না, এবং তার রূপ আমাদের মনে ধরে না। তা ছাড়া বৰ্ত্তমান একটি প্রবাহ, দিনের পর দিন হচ্ছে কালের ঢেউয়ের পরে ঢেউ, সুতরাং এ বৰ্ত্তমানের ইয়ত্তা করতে হ’লে কালের ঢেউ গুণতে হয় ; অপর পক্ষে অতীত হচ্ছে একটি জমাট নিরেট জড় পদার্থ, তার চারিদিকে ভক্তিভারে প্রদক্ষিণ করা যায়, সুতরাং অতীতের গুণকীৰ্ত্তন করা নেহাৎ সহজ, বিশেষত চোখ বুজে। আর এক কথা, স্বদেশের অতীত হচ্ছে প্রতি জাতির পৈতৃক স্থাবর সম্পত্তি, এবং তাঁ’ সমাজের ভোগ-দখলের বিষয়, অতএব তার প্রতি সাংসারিক মনের টানও বেশি, মানও বেশি। বৰ্ত্তমানের তুর্ভাগ্য এই যে, তা অস্থাবর। এবং তার যা ভোগ সে শুধু বািৰ্মভোগ। এই কারণে বৰ্ত্তমানকে ছোয়া যায়, ধরা যায় না। বৰ্ত্তমান সাহিত্য হচ্ছে বৰ্ত্তমানেরই একটি অঙ্গ, কাজেই বৰ্ত্তমান সাহিত্যিকরা গেয়ে যোগীর ন্যায় সমাজের কাছে ভক্তি পাওয়া দূরে থাক, ভিখও পান না। অথচ এই উপেক্ষিত বৰ্তমােনই যখন আমাদের অদূর ভবিষ্যতের নির্ভরস্থল, তখন এ যুগের সাহিত্যের যথাসম্ভব পরিচয় নেবার চেষ্টা করাটা আবশ্যক। চেষ্টা করলে হয়ত এর ভিতর থেকেও একটা আশার চেহারা বার করা যেতে পারে । আমাদের পক্ষে মব-সাহিত্যের নিন্দ করা যেমন সহজ, প্ৰশংসা করা তেমনি কঠিন। কেননা খ্যাতনামা লেখকদের বিচার করবার অধিকার যেখানে কারও নেই, সেখানে অখ্যাতনামা লেখকদের উপরে জজ হয়ে বসবার অধিকার সকলেরই আছে। জন্মাবধি উঠতে বসতে খেতে শুতে যে বস্তুর সুখ্যাতি শুনে