পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্যসভ্যতার সহিত বঙ্গ-সভ্যতার যোগাযোগ ৩০৭ ন-শ-নিরানব্বই জন বাঙালী দ্রাবিড়-মোগল-বংশীয়। কিন্তু এর থেকে বাঙালীর আর্য্যত্ব অপ্রমাণ হয় না। কেননা নৃতত্ত্ববিদেরা অদ্যাবধি এমন কোনও মাপকাঠি নিৰ্ম্মাণ করতে পারেন নি যার সাহায্যে কোনও জাতির বংশনির্ণয় করা যেতে পারে। অপর পক্ষে ভাষার প্রমাণ যদি গ্রাহ্যু হয় তাহলে আমরা স্বীকার করতে বাধ্য যে, বাঙালীজাতি মূলত আৰ্যজাতি। বাঙলাভাষা যে আৰ্যভাষা। এ বিষয়ে দ্বিমত নেই। বৰ্ত্তমান বাঙালীজাতির যে অনাৰ্য্যদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে, এ সত্য অস্বীকার করা যায় না এবং তা অস্বীকার করবার কোনও আবশ্যকতা নেই। কেননা ভারতবর্ষে এমন কোনও জাতি নেই, যাদের শিরায় অনাৰ্য্য-রক্তের লেশমাত্র ও নেই। এ কালের দ্বিজমাত্রেই যে খাটি আর্য এবং অ-দ্বিজ মাত্রেই যে খাটি অনাৰ্য্য এরূপ বিশ্বাসের মূলে কোনও বৈধ কারণ নেই। পুরাকালে বহু আৰ্য্য যে দ্বিজ দ্ব-ভ্ৰষ্ট হয়েছিলেন এবং বহু অনাৰ্য্য যে দ্বিজত্ব-লাভ করেছিলেন সে বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই। সত্য কথা এই যে, আমরা ভারতবর্ষীয় হিন্দুরা সামাজিক হিসেবে যে যাই হই, শারীরিক হিসাবে সবাই বৰ্ণসঙ্কর। এ সত্ত্বেও আমরা যে আৰ্যসভ্যতার যথার্থ উত্তরাধিকারী এবং আমাদের স্বধৰ্ম্ম যে আৰ্য্যধৰ্ম্ম এ কথা নিৰ্ভয়ে বলা যেতে DBBSS DDB DBDB BB DDD SS DBDDS i BDB DD ত্যও হয় যে, প্রাচীন আৰ্যদের সঙ্গে বাঙালীর রক্তের সম্পর্ক এক পাই, তাহলেও আৰ্যসভ্যতার সঙ্গে বাঙালী-হিন্দুর মনের সম্পর্ক পোনেরো-আনা-তিন-পাই । অতএব আমাদের পক্ষে আৰ্য্যত্বের দাবী করা অসঙ্গত নয়। আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে জাতীয় মানবই হন, তারা, আৰ্যভাষা আৰ্যধৰ্ম্ম, আৰ্য আচার