পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্যসভ্যতার সহিত বঙ্গ-সভ্যতার যোগাযোগ। ৩১১ তার পর, এই বৈদিক-ধৰ্ম্মের অন্তরেও এমন বিরোধ ছিল যে, তার সমন্বয় করে তাকে এক-ধৰ্ম্মে পরিণত করাও সেকালে সম্ভবপর হয় নি। এই বিরোধের কারণ এই (श, ७ी क्षीं অপৌরুষেয় ; অর্থাৎ নানান মুনির নানান মতের নামই শ্রুতি। কোনও বিশেষ পুরুষকর্তৃক প্ৰবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মে মতের ঐক্য থাকে, কেননা তা এক ব্যক্তিরই মত। প্রথমেই নজরে পড়ে যে, এধৰ্ম্মে কৰ্ম্ম এবং জ্ঞান পরস্পর পৃথক হয়ে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত মার্গ অবলম্বন করলে। আত্মা গমন করলেন অরণ্যে, আর দেহ পড়ে থাকল গৃহে। এর ফলে জীবন আত্ম-হীন এবং আত্মা নিজীব হয়ে পড়ল। দেহ ও আত্মা একবার পৃথক হয়ে গেলে তাদের পুনর্বার সমন্বয় করা মানুষের সাধ্যের অতীত । বেদপন্থীরা এই অসাধ্য-সাধনের চেষ্টা কখনও করেন নি। বরং র্তারা নিজের নিজের কোট বাজায় রাখবার জন্য নিজ নিজ সাম্প্রদায়িক মতের মীমাংসা করতেই ব্যস্ত ছিলেন । এ মীমাংসার উদ্দেশ্য-স্বপক্ষের বিরোধের সমন্বয় করা । কৰ্ম্ম এবং জ্ঞান, এ উভয় কাণ্ডেই নেতি নেতি করে মীমাংসা করে” হয়েছিল। ফলে ইতি দাঁড়াল এই যে-ব্রহ্মবাদ শূন্যবাদের কোঠায় এবং মন্ত্রাত্মক দেবতাবাদ নাস্তিকতার কোঠায় গিয়ে পড়ল ; অর্থাৎ একদিকে থাকল।--ভক্তিহীন ক্রিয়াহীন জ্ঞান, আর-একদিকে থাকল-জ্ঞানহীন ভক্তিহীন ক্রিয়া। এ জ্ঞান EEE Li DDBD DuDSuBD BDSBD DBBDSBB BB DuDuBDB ভক্তি নেই অর্থাৎ মানব হৃদয় নেই, অতএব, রক্তের চলাচল নেই। এই হচ্ছে ভারতবর্ষের আর্য্যসভ্যতার গতি স্থগিত হয়ে যাবার অপর কারণ। সুতরাং আমরা উত্তরাধিকারী সত্ত্বে যা লাভ করেছি তা হচ্ছে