পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাণের কথা । \\ অসুবিধা আছে যা, তার অপর মূৰ্ত্তি অবস্থার নেই। উদ্ভিদ নিশ্চল, অতএব তা পারিপাশ্বিক অবস্থার একান্ত অধীন। প্ৰকৃতি যদি তাকে জল না যোগায় ত সে ঠায় দাড়িয়ে নিৰ্জলা একাদশী করে শুকিয়ে মরতে বাধ্য। এই তার অসুবিধা। অপর পক্ষে তার সুবিধা এই যে, তাকে আহার সংগ্ৰহ করবার জন্য কোনরূপ পরিশ্রম করতে হয় না, সে আলো বাতাস মাটি জল থেকে নিজের আহার অক্লেশে প্ৰস্তুত করে নিতে পারে। পশুর গতি আছে, অতএব সে পারিপাশ্বিক অবস্থার সম্পূর্ণ অধীন নয়—সে এক দেশ ছেড়ে আর এক দেশে চলে যেতে পারে। এইটুকু তার সুবিধা । কিন্তু তার অসুবিধা এই যে, সে নিজ গুণে জড় জগৎ থেকে নিজের খাবার তৈরি করে নিতে পারে না, তাকে তৈরি-খাবার অতিকষ্টে সংগ্ৰহ করে জীবন DBDB BSBD S DDS S SJSDBDDB LLLBLYBB BDBK DDDS K DDS সে উদ্ভিদেরই সামিল-কেননা সে শিকড়বদ্ধ না হোক, শিকলবদ্ধ । মানুষ পারিপার্শিক অবস্থার অধীন হতে বাধ্য নয় ; সে স্থান ত্যাগ করতে ও পারে, পাৰিপাশ্বিক অবস্থার বদল করেও নিতে পারে। এ কালের ভাষায় যাকে “বেষ্টনী” বলে, মানুষের পক্ষে তা গণ্ডী নয়, মানুষের স্থিতি গতি তার স্বেচ্ছাধীন। এই তার সুবিধা । তার অসুবিধা এই যে, তাকে জীবনধারণ করবার জন্য শরীর ও মন দুই খাটাতে হয়। পশুকেও শরীর খাটাতে হয়, মন খাটাতে হয় না ; উদ্ভিদকে শরীর মন দু'য়ের কোনটিই খাটাতে হয় না। অর্থাৎ উদ্ভিদের জীবন সব চাইতে আরামের। পশুর শরীরের আরাম না থাক, মনের আরাম আছে। মানুষের শরীর মন দু'য়ের কোনটিরই 8t