পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গভাষা বনাম বাকুবাঙ্গলা।। ৪১ আপত্তি যখন ঐ বিভক্তি সম্বন্ধে, তখন “শব্দের” পরিবর্তে “বিভক্তি” এই শব্দটিই ব্যবহার করা উচিত ছিল। ৩। “সাহিত্যিক” এই বিশেষণটি বাঙ্গলা কিম্বা সংস্কৃত কোন ভাষাতেই পূর্বে ছিল না, এবং আমার বিশ্বাস উক্ত দুই ভাষার কোনটির ব্যাকরণ অনুসারে “সাহিত্য” এই বিশেষ্য শব্দটি “সাহিত্যিক” রূপ বিশেষণে পরিণত হতে পারে না । , বাঙ্গলার নব্য “সাহিত্যিক্ৰ’দের বিশ্বাস, যে বিশেষ্যের উপর। অত্যাচার করলেই তা বিশেষণ হয়ে ওঠে। এইরূপ বিশেষণের সৃষ্টি আমার মতে অদ্ভুত সৃষ্টি। এই পদ্ধতিতে সাহিত্য রচিত। &R sti, Literature gliteratural 23 gò ৪। “ভাষাভাষী৷” এই সমাসটি এতই অপূর্ব, যে ওকথা শুনে হাসােহাসি করা ছাড়া আর কিছু করা চলে না। ৫ । “আমরা” শব্দটি পদের পূর্বভাগে না থেকে, শেষ । ভাগে আসা উচিত ছিল। তা না হ’লে পদের অন্বয় ঠিক হয় না। “করতুম” এর পূর্বে নয়, “ব্যবহার” এবং “পক্ষপাতী।” এই দুই । শব্দের মধ্যে এর যথার্থ স্থান । , অযথা এবং অনৰ্থক বিশেষণের প্রয়োগ, ভুল অর্থে বিশেষ্যের প্রয়োগ, অদ্ভুত বিশেষণ এবং সমাসের সৃষ্টি, উল্টোপাণ্টা রকম রচনার পদ্ধতি প্ৰভৃতি বৰ্জনীয় দোষ, আজকালকার মুদ্রিত সাহিত্যের পত্রে পত্রে ছত্ৰে ছত্রে দেখা যায়। সাধু ভাষার আবরণে সে সকল দোষ, শুধু অন্যমনস্ক পাঠকদের নয়, অন্যমনস্ক লেখকদেরও চােখে পড়ে না। ’ “মুদ্রিত” সাহিত্য বলে কোন জিনিষ না থাকলেও, মুদ্রিত ভাষা বলে যে একটা নতুন ভাষার সৃষ্টি হয়েছে, তা অস্বীকার । রুবার যো নেই। লেখার ভাষা শুধু মুখের ভাষার প্রতিনিধি। \ .. .