পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୩୯୬ 市叶夺侧1 টিকি বেধে যাওয়াটা বাংলার পক্ষে স্বাভাবিক নয়। বাংলা ভাষায় দুটি মাত্র পদ ঐরূপ সমাসবন্ধনে আবদ্ধ হয়। গাছপাকা, বর্ণচোরা ইত্যাদি পদ, খাটি বাংলা সমাসের নমুনা । (এ স্থলে বলে’ রাখা আবশ্যক যে, সংস্কৃত ভাষায় পদ মানে word, এৰং বাক্য মানে sentence,-আমরা আজকাল (အဲ့ giể अंका ठेिक উলটাে উলটাে অর্থে ব্যবহার করি। এ প্রবন্ধে আমি পদ এবং বাক্য সংস্কৃত অর্থেই ব্যবহার করব।) তারপর রামমোহন রায় বলেন যে “সংস্কৃত ভাষাতে স্ত্রীত্ব বোধের যে নিয়মসকল, তাহা বাংলা ভাষা ব্যাকরণে উপস্থিত করায় কেবল চিত্তের বিক্ষেপ করা হয়, অথচ সংস্কৃত না জানিলে তাহার দ্বারা বিশেষ উপকার জন্মে না। গৌড়ীয় ভাষাতে কি ক্রিয়াপদে, কি প্রতিসংজ্ঞায় ( সৰ্বনাম ), কি বিশেষণ পদে, লিঙ্গ জ্ঞাপনের কোন চিত্ন নাই।” মিলন সাহেবের মতও তাই। এই সত্যটি মনে রাখলে বাংলা ব্যাকরণ আমাদের কাছে বিভীষিকা হয়ে ওঠে না। Milne সাহেবের বইয়েতে, কারক এবং ক্রিয়া সম্বন্ধে প্রকরণ দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি এই দুটি বিষয়ের আলোচনাতে ংলাভাষা সম্বন্ধে অপূর্ব জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন। আমি বাঙ্গালী পাঠকমাত্রকেই মনোযোগ সহকারে এই দুটি প্রকরণ পড়তে অনুরোধ করি। রামমোহন রায়ের সঙ্গে মিলন সাহেবের কারক এবং ক্রিয়া সম্বন্ধে সামান্য মতভেদ লক্ষিত হয়। মঙ্গলম সাহেব সংস্কৃত ভাষার ন্যায় বাংলা ভাষাতেও সাতটি কার্যকর অস্তিত্ব মানেন। কিন্তু রামমোহন রায় কেবলমাত্র কৰ্ত্তা, কৰ্ম্ম, সম্বন্ধ এবং অধিকরণ, এই চারিটি কারকের অস্তিত্ব ৗকার করেন। অন্য তিনটিতে শব্দের কোনও রূপান্তর হয় না।