পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৫

থাকবে। এরা সকলের নিকটেই সুপরিচিত, সুতরাং এদেয় । বিষয় বেশি কিছু বলবার নেই। তবে কালের গুণে এদের ব্যবসা নতুন আকার ধারণ করেছে। এরা হিন্দুয়ানির লিমিটেড কোম্পানী করে বাজারে ধৰ্ম্মের। সেয়ার বেচোনঅবশ্য গো ব্ৰাহ্মণের হিতের জন্য ! ! আর একদল আছেন, যাদের পক্ষে সমাজের বিধি-নিষিধের দাসত্ব করা স্বাভাবিক-এর শূদ্র। এরা একটা কিছু না মেনে চললে, চলতে পারেন না ; এরা ভালবাসেন পরের দ্বারা যন্ত্রের মত চালিত হওয়া। এরা তর্কযুক্তিকে ভয় পান। এর আদেশের বশবৰ্ত্তী বলে কারও উপদেশ কানে তোলেন না। এরা হিন্দুধৰ্ম্ম রক্ষা করেন, নির্বিচারে তার নিয়ম পালন করে। এরা নিজে শাসিত হতে চান, পরকে শাসন করতে চান না। আর একদল হচ্ছে নব্য-ক্ষত্রিয় ; এরাই হচ্ছেন সকল । নাটের গুরু। এরা শূদ্রের ন্যায় স্বর্গে যাবার সন্তা টিকিট স্বরূপে টিকি শিরোধাৰ্য্য করেন না-করেন ধৰ্ম্মের ধ্বজা স্বরূপে, এবং তারই আস্ফালন করেন বীরত্বের পরিচয় দেবার জন্য। এদের বিশ্বাস, এদের মস্তকের শিখা চাণক্যের শিখা-যাতে গিট বাধলেই আমাদের মত প্ৰকাশ্য অনাচারীদের বংশ সবংশে উৎসন্ন হয়ে, অনাচারীদের গুপ্ত বংশ সমাজের রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হবে। সে যাই হােক, এদের ধৰ্ম্ম হচ্ছে, শুধু ভ্রাতৃবিরোধের সৃষ্টি করা। ধৰ্ম্মক্ষেত্রে একটা কুরুক্ষেত্তর না বাধিয়ে এরা স্থির থাকতে পারেন না। অথচ এদের নব্য-তান্ত্রিকদের শাসন করবার ইচ্ছা যত্রপ, ক্ষমতা তদ্রুপ নেই। যাঁরা জুডো পায়ে দিয়ে জল খান, সেই মহাপাতকীদের সমুচিত শাস্তি দেবার