পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা যৌন সম্বন্ধ স্থাপন করতে পারবে না। ও ব্যাপারে কাউন্ট-ই হবেন একমেবাদ্বিতীয়ম। অবশ্য এই প্ৰতিশ্রুতি দেবার আগে নানা কাউণ্টকে কবুল করিয়ে নিল যে, তিনি কেবলমাত্ৰ নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই নানার বাড়ীতে থাকতে পারবেন। এই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে নানা তার ইচ্ছামত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবে, কাউণ্ট তাতে কোনরকম বাধা দিতে পারবেন না । মোট কথা, নানার উপরে তঁাকে অন্ধ বিশ্বাস রাখতে হবে প্ৰত্যেক ব্যাপারে। কথা হলো যে, যদি কোনদিন কাউণ্ট এই চুক্তির শর্ত না মানেন, তাহলে নানাও বাধ্য থাকবে না। তার সঙ্গে কোনরকম সম্বন্ধ রাখতে । আসল ব্যাপার ছিল এই যে, বাপের বয়সী এই কাউণ্টকে নানা ভালবাসতো না মোটেই। এ যেন নিছক ব্যবসাদারী চুক্তি হলো ওদের দু'জনের মধ্যে । এই জাতীয় চুক্তির পরিণাম যা হয়, নানার বেলাতেও তার ব্যতিক্রম হলো না । সে গোপনে গোপনে প্রেমের কারবার চালাতে লাগলো তার দু’চারজন চেনা-জানা ৰন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। এই অনুগৃহীত বন্ধুদের মধ্যে কাউণ্ট ভাদোভেও ছিল একজন। এই ভাদোভো লোকটি নামে কাউণ্ট হলেও, আসলে সে ছিল ট্যাক খালির জমিদার। তার সম্পত্তির বেশির ভাগই সে ফুকে দিয়েছিল মেয়েমানুষের পেছনে। এই কাউণ্ট মশায়ের তখন একমাত্র আয়ের পথ ছিল ঘোড়দৌড় । খেয়ে না খেয়ে কয়েকটা ঘোড়া সে কিনেছিল, আর এই ঘোড়ার কল্যাণেই করে খাচ্ছিল সে। যোগাড়যন্ত্র করে টাফ ক্লাবের মেম্বারও সে হয়েছিল ঐ ঘোড়ার কল্যাণেই। কিন্তু ঘোড়দৌড়ের মাঠে সে যা কিছু রোজগার করতো, তার চেয়ে অনেক বেশী টাকা সে ব্যয় করতে নানার বাড়ীতে । এই কাউন্ট-প্রবরটি ছাড়া আরও যে কয়েকজন লোকের আনাগোনা চলতো নানার বাড়ীতে, তাদের মধ্যে নাবালক জর্জও একজন । সেই 8