পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SON এত বিলাস-প্রাচুর্যের মধ্যে থেকেও প্রতি রবিবার নানা তার মাসীর বাড়ীতে যেতো ছেলেটাকে দেখতে । ছেলেটার জন্য নানার মনে দুঃখের সীমা ছিল না। লুই ছিল চিরক্কগণ। বয়স তার তিন পেরিয়ে চারে পড়লেও সে একেবারেই বাড়ছিল না। এটা সেটা অসুখ লেগেই ছিল। কিছুদিন আগে তার পিঠে একৃজিমা হয়ে ঘাড় পৰ্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকরকম ঔষধপত্র দিয়েও কিছুতেই সারছিল না। ছেলের গায়ে বিশ্ৰী ঘায়ের হলদে। হলদে দাগগুলো দেখে বাড়ীতে এসে সে নিজের শরীরটা ভাল করে দেখতে । নিজের দেহে কোনরকম দাগ দেখতে না পেয়ে সে ভাবতে-আমার শরীরে যখন কোনরকম অসুখ নেই, এ অবস্থায় ছেলের ঐরকম বিশ্ৰী অসুখ করলে কেন ? রবিবার সকাল হলেই নানা তার মাসীর বাড়ীতে চলে যেতো। বহুমূল্য পরিচ্ছদে ভূষিতা, প্যারী নগরীর সুন্দরী-শ্রেষ্ঠ প্রতি রবিবারে মাদাম, লিরাতের বাড়ীতে আসায় মাদামের সে কি গুমোর ! নানা চলে গেলে পাড়ার মেয়েদের ডেকে সে বলতো-এবারে নানা যে পোশাকটা পরে এসেছিল, তার দাম কত জান ? ওটার দাম পাচ হাজার ফ্রাঙ্ক । নানার গাড়ীখানা । দেখেছি তো ? প্যারীতে ওরকম গাড়ী কখানা আছে ? পাড়া-পড়াশীদের কাছে নানাকে নিয়ে এইভাবে গর্ব করলেও মাদাম, কিন্তু নানার বাড়ীতে যেতে চাইতে না । নানা তাকে অনেকবার বাড়ীতে যেতে বললেও সে ওখানে যেতে চাইতে না। একদিন মাত্র গিয়েই তার আক্কেলগুড়ম হয়ে গিয়েছিল। ওখানকার আমিরী চালচলনের সঙ্গে নিজেকে সে খাপ খাওয়াতে পারতো না। কিন্তু সে না গেলেও নানা ঠিকই আসতো। প্রতি রবিবার সকালবেলায় নানার বহুমূল্য ল্যাণ্ডোখানা এসে দাড়াতো Gdr