পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা হেসে বললো-তা হয়েছি ; কিন্তু তোমার কাছে আমি সেই আগের নানাই আছি। , তোমাকে আমি ছাড়বে না। আমার কাছেই তুমি থাকবে ठांस् 6थक । -কিন্তু কেউ যদি কিছু বলে ? ,-কে কি বলবে? আমার মুখের উপরে কথা বলবে, এমন সাহস আছে কারি ? বাড়ীতে এসে সাটিনকে বাথ-রুমে নিয়ে গিয়ে ভাল করে স্বান করালো নানা । খেতে না পেলেও দেহে যৌবন ছিল সাটিনের। তাই স্নানের ঘরে বন্ধুকে নিজহাতে স্নান করাতে করাতে ঠাট্টা-ইয়ারকি করছিল নানা । তারপর নিজের একসেট দামী পোশাক সাটিনকে পরিয়ে পরিপাট করে প্রসাধন করে দিল তার। প্ৰসাধন হয়ে গেলে সাটিনের মুখের দিকে তাকিয়ে নানা হেসে বললো-এইবার দ্যাখে তো সাটিন, কেমন দেখাচ্ছে তোমাকে ! সাটিন আয়না নিয়ে রানীর মত সাজসজায় নিজেকে দেখে আনন্দে নানাকে জড়িয়ে ধরে তার গালে চুমো দিয়ে ফেললো ছোট্ট শিশুটির মত। নানা খুশী হয়েছিল সাটিনকে পেয়ে। সাটিন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই হঁাপিয়ে উঠলো। নানার বাড়ীর আমিরী আবহাওয়া এবং সর্বোপরি প্রতি ব্যাপারে বাধা-ধরা নিয়ম সাটিনের, ভাল লাগতো না। তার মনে হ’তো, সে যেন বন্দিজীবন যাপন করছে। এর চেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ঢের ভাল। সন্ধ্যার পরে কামাতুর পথিককে প্ৰলুব্ধ করে নিয়ে আসতে তার সেই বেপরোয়া চালুচলন, পুলিস দেখে প্ৰাণপণে ছুট-সেই জীবনটাই যেন এর চেয়ে কাম্য মনে হ’তো সাটিনের । তাই সে একদিন কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে গেল নানার বাড়ী থেকে ।