পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘নানা’র। এইভাবে বাজী মারবার ফলে কাউণ্ট ভাদোভো। একেবারে মাথায় হাত দিয়ে' বসলো। সে তার সর্বস্ব বাজী ধরে বসেছিল তার নিজের ঘোড়া লুসিগনানের উপরে। ভবিষ্যতের ভয়াবহ অবস্থা চিন্তা করে সে ধীরে ধীরে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেল। আস্তে আস্তে সে তার আস্তাবলের কাছে গেল। আস্তাবলে ঢুকে সাবধানে দরজা-জানালা বন্ধ করে পকেট থেকে দেশলাই বের করে হাতে নিয়ে, কিছুক্ষণ চুপ করে দাড়িয়ে, চারদিকটা ভাল করে দেখে নিল একবার । তারপর একটা কাঠি জেলে নিজের হাতে আগুন ধরিয়ে দিল সে আস্তাবলে। দেখতে দেখতে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো আস্তাবলটা । ঘোড়াগুলোর সঙ্গে কাউণ্ট ভাদেভোও পুড়ে মারা গেল আস্তাবলে আবদ্ধ অবস্থায় । ঐ রাত্রেই ‘মেবিল’এ এক বিরাট অভিনন্দন দেওয়া হ’লে নানাকে । প্যারীর আভিজাতমহলের প্রায় সবাই উপস্থিত হয়েছিল। সেই অভিনন্দন-সভায় । মহিলা-সমাবেশও হয়েছিল অনেক। প্যারীর সুন্দরীর দল তাদের উন্নত ও উন্মুক্ত প্রায় বক্ষশোভা দেখিয়ে ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়াচ্ছিল। নানা আসতেই কলগুঞ্জন ঐকরোলে পরিবর্তিত হয়ে গেল। সবাই একসঙ্গে বলে উঠলো—সুস্বাগত নানা ! একজন লোক হঠাৎ ছুটে গিয়ে নানাকে একেবারে কঁাধে তুলে নাচতে সুরু করলো । সমাগত ভদ্রমহিলা আর ভদ্রমহোদয়বৃন্দ আনন্দের আতিশয্যে বেসামাল হ’য়ে এমন সব কাণ্ডকারখানা সুরু করে দিলেন যার বর্ণনা না করাই ভালো । চেচিয়ে, বাগানের ফুল ছিড়ে, গাছ উপড়ে, এমনই সম্বর্ধনা জানানো হ’লো নানাকে, যেরকম প্ৰলয়ঙ্কর সম্বর্ধনা প্যারীতে আর কাউকে কোনদিন জানানো হয়েছে কিনা সন্দেহ । SS8