c5, কিছুদিন থেকে নানা যেন একটু মনমরা হয়ে পড়েছিল। কোন যেন তার মনে হচ্ছিল যে, সে যা করছে, তার ফলে তাকে নরকে যেতে হবে। নরক ! কেমন জায়গা সেটা ? সেখানে কি যমদূতরা তাকে রেহাই দেবে ? নিশ্চয়ই উত্তপ্ত তেলের কড়াতে ডুবিয়ে মারবে তাকে ! এই সব চিন্তা এসে আচ্ছন্ন করে ফেললো নানার মন । মৃত্যুভয়ে এবং মৃত্যু-পরবর্তী নরকের ভয়ে অস্থির হয়ে উঠলে সে। এইরকম যখন তার মনের অবস্থা, সেই সময় একদিন কাউণ্ট মাফাতকে হঠাৎ প্রশ্ন করে বসলো নানা-আচ্ছা বলে তো কাউণ্ট ! সত্যিই কি স্বর্গ আর নরক বলে কিছু আছে ? কাউণ্ট সেদিন এসেছিলেন নানার সঙ্গে একটা ফয়সালা করে ফেলতে । নানালোকের মুখে নানা কথা শুনে নানার উপর তিনি বেশ কিছুটা বিরক্তি নিয়েই এসেছিলেন সেদিন, কিন্তু হঠাৎ নানার মুখে স্বৰ্গ-নরকের কথা শুনে " পেলেন যে, তার মুখ-চোখ যেন বসে গেছে। তাকে দেখলে মনে হয়, যেন সে অসুখে ভুগছে। কাউণ্টের সব রাগ জল হ’য়ে গেল । DDBB BDDBSBDBB SDDLSD DDB BBJBDYJSDD DGGDD LDBDBD শরীর ভাল আছে তো ? কোন অসুখ-বিসুখ করেনি তো ? নানা বললো-না, অসুখ করেনি, কিন্তু তুমি আর আসো না কেন, বলে। তো ? আমার এখন সব সময়ই মনে হয় যে, আমাকে নরকে যেতে হবে। কাউণ্ট বললেন- কেন অযথা নরকের কথা ভেবে মন খারাপ করছে, নানা ? পরলোক বা নরক থাকতেওঁ পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। Σ Σ
পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।