পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা ছাড়া, তুমি এমন কি করেছে, যাতে তোমার ধারণা হচ্ছে যে, তুমি নরকে যাবে? —যাবো না ? বলছে তুমি একথা ? সত্যি কাউণ্ট, আমাকে তুমি বঁাচালে এই কথা বলে। এই কথা বলেই নানা হঠাৎ দু'হাত দিয়ে কাউণ্টকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললে । কঁাদিতে কঁাদিতেই সে বললো—না না, আমি মরতে পারবো না। নরক-উঃ, সে কী ভয়ানক ! কাউণ্ট সস্নেহে নানার মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বললেন—ছিঃ ! ওরকম ছেলেমানুষি কোরো না। আমি তো জানি যে, তুমি এমন কোন পাপ কাজ করোনি, যাতে তোমাকে নরকে যেতে হবে। —তুমি বলছে। এ কথা ? আমি যা করছি, সে সব পাপ নয় ? এই যে তোমাদের সবার কাছে প্রেমের অভিনয় করে আর দেহের ফাদ পেতে তোমাদের টাকা নিচ্ছি-এ সব কি পাপ নয় ? -না নানা, এ তোমার পাপ নয়। তুমিও যেমন নিচ্ছে, সেইরকম আমরাও তো দিচ্ছি। আমরা যদি ইচ্ছা করে না দিই, তা হলে তুমি তো জোর করে নাও না ? কাউণ্টের এই কথায় মনে কিছুটা বল পেলো নানা । কাউণ্টকে ছেড়ে দিয়ে খাটের উপরে বসে পড়লো সে । খাটে বসে হঠাৎ আয়নার দিকে দৃষ্টি পড়লো তার। আয়নায় নিজের চেহারা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠলো। সে । হঠাৎ সে ছুটে গেল আয়নাটার সামনে। নিজের মুখখানাকে যথাসম্ভব বিকৃত করে আঙুল দিয়ে গাল টিপে ধরলে সে। আয়নায় তার সেই বিকৃত মুখের প্রতিচ্ছবি দেখে ঘূণায় আর ভয়ে শিউরে উঠলো। সে । SSS