পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ দু'দিন পরে কাউণ্ট যখন নানার ঘরে এলেন, নানা তখন খাটে শুয়ে। মাথার যন্ত্রণায় বালিশ থেকে মাথা তুলতেও কষ্ট হচ্ছিলো তার। কাউণ্টকে দেখে সে বললো-এসে কাউণ্ট ! কাল রাত্রে আমার এমন অবস্থা হয়েছিল যে, তোমার সঙ্গে আবার আমার দেখা হবে-এ আশাই আমার ছিল না। পেটেরটা গেছে- সে খবরটা শুনেছো বোধ হয় ? কালই হয়েছে ব্যাপারটা । নানার জারজ ছেলের বাপ হ’তে হবে না, এই কথা শুনে কাউণ্ট যেন বেঁচে গেলেন। কিছুক্ষণ কোন কথাই বের হ’লো না তার মুখ দিয়ে। কাউণ্টের ভাববৈকল্য লক্ষ্য করে নানা বললো-অতো ভাবছো কি, বলে তো ? এসো, আমার পাশটিতে একবার বসে দেখি । যন্ত্রচালিতের মতো কাউণ্ট মাফাত নানার কাছে এগিয়ে গিয়ে তার পাশে ৰসে পড়লেন । নানা বললো-তোমার কি হয়েছে, বলে তো ? তোমারও কি কোন অসুখ-বিসুখ করেছে নাকি ? 1 []=ܚܗ —তবে ? অমন চুপ করে গেলে কেন তুমি ? আমাকে কিছু বলতে চাও কি ? || lه حس কিন্তু কাউণ্ট মুখে “না' বললেও নানা ঠিকই বুঝে নিলো যে, তিনি মনের ভাব চেপে রাখতে চেষ্টা করছেন । নানার ধারণা হ’লে যে, কাউণ্ট বোধ হয় তঁার স্ত্রীর গোপন অভিসারের খবর জানতে পেরেছেন । সে তাই বলে বসলো—তুমি কিছু না বললেও আমি কিন্তু বুঝে নিয়েছি তোমার মনের কথা। কাউণ্ট নানার কথায় চমকে উঠে বললেন—কি বুঝতে পেরেছে। তুমি ? নানা কাউন্টের প্রশ্নের সোজা উত্তর না দিয়ে বললো-হাতে-নাতে ধরে ফেলেছিলে নাকি ? Syr