পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--না। তবে সে একরকম হাতে-নাতে ধরবারই সামিল । --কি রকম ? --রকম যা-ই হোক, ঐ বদমাস সম্পাদকটাকে আমি খুন করবো। চাবকে ওর পিঠের চামড়া তুলুে নেবো। আমি, এ তুমি দেখে নিও। নানা বললো-না না, ওসব কিছু করতে যেও না যেন । ওসব করতে গেলে তোমার নিজেরই ক্ষতি হবে বেশি। খবরের কাগজগুলো সপ্তাহের পর সপ্তাহ তোমার ঘরের এই কেলেঙ্কারিকে ফলাও করে ছাপতে থাকবে, যার ফলে সমাজে তোমার মুখ-দেখানোই দায় হয়ে উঠবে। -তবে আমি কি করবো বলতে পারো ? —করবে। আবার কি ? কাউন্টেসের সঙ্গে মিটমাট করে ফ্যালো। তুমি যদি কাউণ্টেসকে ভালবাসে, তাকে যদি ঠিক আগের মতো আদর-যত্নে করে, তা হলে দেখবে, তিনিও তোমাকে ভালবাসছেন । ভূতের মুখে রামনামের মতো হলেও নানার মুখে হিতোপদেশ শুনে কাউণ্ট কিন্তু একেবারেই গলে গেলেন। একটু আগেও তার মনের ভিতরে যে গ্লানি জমে উঠেছিল, নানার কথায় সেই গ্লানি যেন কপূরের মতোই উবে গেল। তিনি তখন নানার মুখের কাছে মুখ নিয়ে তার ঠোঁটে একটা চুমো দিয়ে বললেনতুমি ঠিকই বলেছে। নানা, মিটমাট আমাকে করতেই হবে। নানা বললো—তা ছাড়া, টাকাও তো চাই। তোমার অবস্থার কথা সবই তো আমাকে বলেছে। তুমি। এ অবস্থায় কাউণ্টেসের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করলে সবদিক দিয়েই সর্বনাশ । কথাটা ঠিকই বলেছিল নানা । কাউণ্টের তখন নিজের সম্পত্তি বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। একটিমাত্র বড় জমিদারি যা অবশিষ্ট ছিল, সেটিকে বিক্রি করবাবু কোন অধিকার ছিল না। কাউন্টের । ঐ জমিদারিটি তার শ্বশুরের দেওয়া । দানপত্রের SS