পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে ঢুকতে দেখে কাউণ্টেস রীতিমত বিব্রত হয়ে উঠলেন। তার ধারণা হ’লো যে, কাউণ্ট বুঝি ফুচেরির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার ব্যাপার নিয়েই কিছু বলতে এসেছে। র্তার বুকের ভিতরে চিপ টিপ করতে লাগলো। কাউণ্ট কিন্তু তঁাকে ওসব কথা কিছুই বললেন না। তিনি প্ৰথমেই | প্ৰস্তাব করে বসলেন মিটমাট করে নেবার। “যা হবার হয়ে গেছে”—এই ধরনের একটা কিছু বলে কাউণ্ট একেবারে সরাসরি আর্থিক অনটনের কথা পেড়ে বসলেন। টাকা তখন কাউণ্টেসেরও দরকার। র্তার হাতও খালি হয়ে এসেছিল। তিনি তাই বললেন-কি করা যায়, বলে তো ? কাউণ্ট বললেন-আমি ভাবছি যে, নিস বর্দেস-এর জমিদারিটা বিক্রি করলে কেমন হয়। কাউণ্টেস সঙ্গে সঙ্গে রাজী হয়ে গেলেন এই প্ৰস্তাবে। কথা হলো যে, জমিদারি-বিক্রির টাকাটা ওঁর স্বামী-স্ত্রীতে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। ঐ দিনই বিকালে কাউণ্ট মাফাতের জামাই মাসিয়ে ড্যাগনেট নানার বাড়ীতে গিয়ে হাজির হ’লো । নানা তখন ঘুমোচ্ছিল । জে এসে তাকে ডেকে তুলে দিয়ে ড্যাগনেটের আগমনবার্তা জানাতেই নানা বললো- পাঠিয়ে দে। ওকে এই ঘরে { একটু পরেই ড্যাগনেটে এসে বললো-আমি তোমার কাছে এলাম, নানা । নানা বললে-সে কি হে ! তোমার না। আজ বিয়ে ! নানা তার বিয়ের কথাটা তুলতে সে একটু আমতা-আমতা করে বললেহ্যা, মানে তোমারই অনুগ্রহে আমার এই বিয়ে, নানা । সেই জন্যই তো তোমার কাছে এলাম। আমি । আমি আজ তোমার আশীৰ্বাদ নিতে এসেছি। নানা হেসে বললো-বেশ বেশ! বিয়ের মন্ত্র পড়বার সময়ও দেখছি আমাকে ভুলতে পারোনি তুমি। S R(t