পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানার ভোগবিলাসবাসিনাও যেন উদ্দাম হয়ে উঠলো। সে তখন দু'হাতে টাকা ७gांड श्रद्ध कद्भgज} । এই সময়টাই ছিল নানার জীবনে সবচেয়ে সুখের । নানার চালচলন, , নানার বিলাসিতা এবং সর্বোপরি অর্থের উপর নানার তাচ্ছিল্যভাব দেখে সারা প্যারীর বিলাসী সম্প্রদায় একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। মাত্র একটি রাত্রি নানাকে শয্যাসঙ্গিনীরূপে পাবার জন্যে দশ হাজার ফ্রাঙ্ক খরচ করবার মত লোকেরও অভাব ছিল না। তখন । এই সময়টায় নানার বাড়ীতে যে রকম খরচ হ’তো, অনেক রাজাজমিদারের বাড়ীতেও সেরকম খরচ হ’তো না। একমাত্ৰ খাবার খরচই হতো মাসে পাচ হাজার ফ্রাঙ্কের বেশি । নানার বাড়ীর রান্নাঘরে রীতিমত লুটতরাজ চলছিল তখন। পাচকরা যাকে খুশি এবং যত খুশি বন্ধুবান্ধবকে নিমন্ত্রণ করে তো খাওয়াতোই, এমন কি তাদের বাড়ীতেও পাঠাতে রান্না-করা খাবার । পরিচারিকা জুলিয়ান তো টাকা প্ৰতি আট আনা হিসাবে কমিশন আদায় করতে সুরু করে দিল সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে। সাপ্লায়াররাও সুযোগ বুঝে এক টাকার মাল পাচ টাকা দরে বিল করতে লাগলো। সময় সময় আবার মাল সাপ্লাই না করেই বিল পাঠাতে লাগলো তারা। এই পাইকারী লুণ্ঠনের ব্যাপারে নানার পিয়ারের পরিচারিক জো-ই ছিল সবার উপরে । সে নিজে তো মারতোই, এমনকি অন্যান্য চাকর বাকরের উপরেও ভাগ বসাতো সে। তাকে ভাগ না দিয়ে কোন কাজই কেউ করতে পারতো না। তবে লুটের ভাগ সে নিলেও অন্যভাবে সে অনেক সাহায্য করতো। ওদের। ওদের যা কিছু দোষ-ত্রুটি, জো-ই সেগুলো ঢেকে-ঢুকে রাখতো। জো’র টাকা লুটবার এত বেশি সুযোগ করে দিয়েছিল নানা নিজেই। নানার পোশাক-পরিচ্ছদ, গহনাপত্ৰ কোন কিছুরই হিসাব-নিকাশ থাকতে S. We