পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। আজ যে পোশাকটা পাঁচ হাজার ফ্রাঙ্ক খরচ করে তৈরী হলো, সেটা হয়তো মাত্র একদিন পরেই বাতিল করে দিল নানা । অনেক সময় আবার খোজও পাওয়া যেতো না। অনেক জিনিসের। লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনাপত্ৰ উধাও হয়ে যেতে লাগলো নানার দেরাজ থেকে । আজ ফে জিনিস কেনা হ’লো, কালই তা কোথায় গেল, সে সম্বন্ধে খবর ও রাখতে Ti fr | নানারকম জিনিস কেনা ছিল নানার একটি শখ। নানার শখ মেটাতে কত লোককে যে পথের ভিখারীর চেয়েও অধম হতে হয়েছিল, কেউ তার খবরও রাখতে না । কিন্তু জিনিস কেনবার শখ ষোলো আনা থাকলেও সেগুলোকে যত্ন করে রাখবার মত সময় বা নজর কিছুই ছিল না তার । যে দোকানে নানা কোন জিনিস কিনতে ঢুকতো, সে দোকানদারের বরাত খুলে যেতো। বাজারে একটা গুজব রটে গিয়েছিল যে, নানা যে রাস্তা দিয়ে যায়, সে রাস্তায় তার পেছনে কেবলমাত্র ছেড়া ন্যাকড়া আর রাস্তার ধুলো ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না ! কথাটার মধ্যে সত্য ছিল অনেকখানি । যে সব জিনিস নানার ভাল লাগতো, যতই দাম হোক, সেগুলো সে সংগ্ৰহ করতো। দোকানদাররাও সুযোগ বুঝে এমনই দাম হেঁকে বসতো, যা নানার কাছে পর্যন্ত অসম্ভব মনে হ’তো সময় সময় । কিন্তু যত দামই হোক, সেগুলো সে কিনতোই । জিনিস কিনে এইভাবে টাকা নষ্ট করা ছিল তার একটা খেয়াল । শুধু যে জিনিসপত্রই কিনতো নান, তা-ই নয়। তার খেয়ালের খেই পেতো না কেউ-ই । এমনি একটা খেয়ালের খেসারত দিতে প্ৰাণান্ত হচ্ছিল “ফিগারো-সম্পাদক ফুচেরি। নানা তার কাছে একদিন আবদার করে বলেছিল যে, তার বাড়ীর পিছন দিকটায় একটা সবজি-বাগান করে দিতে হবে। সম্পাদককে । বেচারা সম্পাদককে কিন্তু নানার এই ক্ষুদ্রতম খেয়ালটির ধাক্কা সামলাতে বাধা দিতে হয়েছিল তার ছাপাখানাটি পর্যন্ত । > ●>