পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময় নানার হঠাৎ একদিন খেয়াল চেপে বসলো তার বাড়ীর আসবাবপত্রগুলো সব পাল্টাতে হবে। সেগুলো সবই নাকি পুরানো হয়ে গিয়েছিল। বাড়ীখানাকে কিভাবে সাজানো যায়, তার একটা প্ল্যানও করে ফেললে সে। ঘরের পর্দাগুলোকে সরিয়ে ফেলে ওগুলোর জায়গায় গোলাপী রঙের মথুমলের পর্দা লাগাতে হবে। পর্দাগুলোর নীচে থাকবে সোনালী ঝালর । তা ছাড়া একখানা খাটিও করাতে হবে নূতন করে। খাটের যে ডিজাইন সে মনে মনে ভেবে রেখেছিল, তা হচ্ছে-খাটখানা দেখতে অনেকটা সিংহাসনের মত হবে। খাটের বাজুতে থাকবে রূপোর কাজ-করা লতাপাত৷ আর মাঝে মাঝে থাকবে সোনার ফুল। তা ছাড়া খাটের চারদিকে দাড়িয়ে থাকবে চারটি নগ্নমূতি। এই মৃতি চারটির হাতেই ধরা থাকবে মশারির কোণগুলো । যেমনি চিন্তা আমনি কাজ। সঙ্গে সঙ্গে খবর গেল প্যারীর সবচেয়ে নাম-করা কেবিনেট-মোকারের কাছে। কেবিনেট-মেকার এসে নানার ডিজাইনের ফরমাইস শুনে ছুটলো আবার এক স্বর্ণ-শিল্পীর কাছে। স্বর্ণ-শিল্পী এলে ওরা দু’জনে মিলে এস্টিমেট করে সেই খাটের যা দাম বললে, তা শুনে সাধারণ মানুষদের পিলে চমকে যাবার কথা। ওরা সেই খাটের দাম বললো পঞ্চাশ शस्त्रांद्र शांशी । নানা কিন্তু মোটেই পিছপা হ’লে না। এই দাম শুনে। সে তখনই অর্ডার দিয়ে দিল খাট তৈরি করতে । অর্ডার তো দেওয়া হলো, কিন্তু কে সেই ভাগ্যবান, যার ঘাড়ে নানার এই খাটের বোঝাটি চাপবে ? অনেক ভাবনা-চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত কাউণ্ট মাফাতকেই এই খাটের বোঝা বইবার ভার দেওয়া হবে বলে স্থির করলে নানা । পরদিন কাউণ্ট আসতেই নানা বললে যে, একখানা খাট তৈরি করতে आउँ5ाद्र 6िभ्रgछ ८म । y 3R