পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাউণ্ট বােধ হয় ভেবেছিলেন যে, একখানা খােটই তো, কি আর, এমন দাম হ’তে পারে তার ! তাই তিনি নিতান্ত নিম্পৃহভাবেই বলে ফেললেনবেশ তো, অর্ডার যখন দেওয়া হয়েছে, তখন নিশ্চয়ই নেওয়া হবে। কিন্তু খাটখানার দামের কথা শুনেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবার উপক্রম হলো তার। কী সর্বনাশ ! একখানি খাটের দাম পঞ্চাশ হাজার ফ্রাঙ্ক ! কাউণ্টকে ভাবতে দেখে নানা বললো-কি গো ? অতো ভাবছো কি তুমি ? দামটা একটু বেশি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে তো ? তা হোক, ভালো জিনিস পেতে হলে ভালো দাম দিতেই হবে। কাউণ্ট শুধু বললেন—তা তো বটেই। কথা হ’লে যে, খাটখানা কাউণ্ট নানাকে তার জন্মদিনে উপহার QrCK এইভাবে নানাকে খুশী করতে, নানার মুখে এক টুকরো। হাসি ফোটাতে কাউণ্ট মাফাত সৰ্বনাশের পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে লাগলেন। 皋 পনেরোই অক্টোবর। নানার জন্মদিন । সকাল থেকেই বন্ধুবান্ধব আর স্তাবকের দল আসতে সুরু করছে। প্ৰত্যেকেই যে যার সাধ্যমত উপহার নিয়ে আসছে। ফিলিপি এলো একটা সোনালী কাজ-করা কাচের বাক্স নিয়ে। বেচারাকে তিনশ’ ফ্রাঙ্ক দাম দিতে হয়েছিল ওটার জন্য । ফিলিপির হাতে বাক্সটি দেখেই নানা ছুটে গেল তার দিকে। তার হাত থেকে বাক্সটা একরকম কেড়ে নিয়ে নানা বললো-চমৎকার বাক্সটা তো ! কত পড়লো ? -তিনশ’ ফ্রাঙ্ক । రిని