পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--ਚਿਸੰ ফ্রাঙ্ক! এত দাম দিয়ে এসব তুমি কেন। কিনতে গেলে বলোতো ? নানা জানতো যে, ফিলিপি সামান্য মাইনের চাকুরে। হয়তো এই বাক্সটি কিনতে ওকে ধার করতে হয়েছে, তাই সে বললে ওকথা। টাকাটা কিন্তু ফিলিপি ধার করেনি। সে তখন লেফটেন্যান্ট থেকে ক্যাপ্টেন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে সৈন্যদলের বেতন দেওয়ার ভার পড়েছিল তার উপরে। সে ঐ সরকারী টাকা ভেঙেই নানার জন্য উপহার কিনে এনেছিল। ফিলিপির উপরে নানার সেই সময় নেকনজরটা একটু বেশি ছিল। কারণ, সময় অসময় ফিলিপির কাছ থেকে সে তার হাত-খরচটা চালিয়ে নিচ্ছিলো। কিন্তু নানার এই হাত-খরচের গুতো সামলাতেই বেচারা ফিলিপি দশ হাজার ফ্রাঙ্কেরও বেশি সরকারী তহবিল ত হুরুপ করে বসেছিল। এই বিরাট টাকা কি করে শুধবে এবং উপরওয়ালা জানতে পারলে তার কি পরিণাম হবে, এই কথা চিন্তা করে ফিলিপি মাঝে মাঝে বিমর্ষ হ’য়ে পড়তো । কিন্তু তার এই বিমৰ্ষভাব একেবারেই দূর হয়ে যেতো নানা যখন তাকে আদর করে চুমো দিতো। ফিলিপির মনে তাই আঘাত লাগলো নানার মুখে দামের কথা শুনে। সে বললো-তিনশ’ ফ্রাঙ্ক কি বলছে, দরকার হ’লে তোমার জন্য প্ৰাণ দিতেও পারি। আমি । নানা এইসময় বাক্সটাকে হাত থেকে টেবিলের উপরে রাখতে যাচ্ছে দেখে ফিলিপি বললো-ওটিকে খুব সাবধানে নামিও কিন্তু, ঠুনকে জিনিস, একটু আঘাত লাগলেই ভেঙে যাবে। নানা হেসে বললো—আমাকে কি এতই আনাড়ি ভেবেছো নাকি তুমি ? এই দ্যাখে না, কেমন করে রাখছি। আমি। " কিন্তু নানার মুখের কথা শেষ না হতেই বাক্সটি তার হাত থেকে মেঝের উপর পড়ে গেল। পড়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল বাক্সটা। S 98