পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে রাত্রে কিছুতেই ঘুম এলো না তার চােখে । সারারাত জেগে থেকে ভোরের দিকে ঘুম এসেছিল তার। হঠাৎ একটা দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠলে সে। জেগে উঠে সে দেখলে যে, বেলা তখন • অনেকটা হ’য়ে গেছে। সে কারে সঙ্গে ভাল করে কথাও বললো না সেদিন । সারাটা সকাল ঘরে দরজা দিয়ে গুম হয়ে বসে থাকলে সে। তারপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া কোনরকমে শেষ করেই বেরিয়ে পড়লে সে। জর্জ বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাবার কিছুক্ষণ পরেই একটা ভয়ানক দুঃসংবাদ এলো মাদাম হিউজেনের কাছে। তিনি খবর পেলেন যে, তার বড় ছেলে ফিলিপি সরকারী তহবিল তছরূপ করবার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে। অনেকদিন থেকেই ফিলিপি সরকারী তহবিলের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল । শেষ পৰ্যন্ত সে নাকি হিসাবের খাতাও জাল করেছিল। উপরওয়ালাদের চোখে ধূলো দিতে। এই ব্যাপারটা কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেই ফিলিপিকে গ্রেফতার করে পুলিসের হেফাজতে দিয়েছেন। মাদাম হিউজেন। এই খবর পেয়ে একেবারে থ’ হ’য়ে গেলেন। প্ৰথমেই তার মনে হ’লে যে, তার ছেলের এই অধঃপতনের জন্য দায়ী একমাত্র নানা । ঐ ডাইনী মেয়েমানুষটাই তার ছেলের এই দশা করেছে ! মনে মনে নানাকে সহস্ৰ অভিশাপ দিতে লাগলেন। তিনি । কিন্তু নানাকে অভিসম্পাত দিলে তো আর ফিলিপি খালাস পাবে না, সুতরাং একটা কিছু ব্যবস্থা তাকে করতেই হবে। তার তখন মনে হ’লে যে, নানা হয়তো ফিলিপির অপরাধ সম্বন্ধে খবরাখবর জানতেও পারে। হয়তো এমন কোন খবরও তার জানা থাকতে পারে, যা নিয়ে লড়লে খালাস পেতে পারে ফিলিপি । এই সব কথা চিন্তা করে তিনি নানার বাড়ীতে যাওয়াই মনস্থ করলেন। তিনি তখন কাউকে কিছু না বলে কোচম্যানকে গাড়ী বের করতে বললেন। \Or