পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোচম্যান গাড়ী বের করে আনলে তিনি গাড়ীতে উঠে বসে বললেম-নানার বাড়ীতে চলো ! মাদামের কথাতে কোচম্যান আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেলেও কোন কথা না বলে ঘোড়ার পিঠে চাবুকের আঘাত করলে সে। এদিকে নানার বাড়ীতে তখন পাওনাদারের দল এসে ভিড় করেছে। ওরা সবাই এসেছে টাকা নিতে । কারণ, ঐ দিনই টাকা দেওয়া হবে বলে সবাইকে বলে দিয়েছিল নানা । ওদের মধ্যে রুটিওয়ালা লোকটাই ছিল সবচেয়ে ছোটলোক । সে রীতিমত চোঁচাতে সুরু করে দিয়েছিল। নানার হাতে সেদিন কিছুই ছিল না । সে তখন বারবার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছিল ফিলিপির আশায় । যদি দশটি লুই এনে দেয় ফিলিপি আজ, তা হ’লে রুটিওয়ালাটাকে ঠাণ্ড করা যায়। কিন্তু কোথায় ফিলিপি ? এই রকম অবস্থায় জর্জ এসে হাজির হ’লে তার কাছে। নানা ভাবলে যে, ফিলিপি বুঝি জর্জকে দিয়েই পাঠিয়েছে টাকা কাঁটা। তাই সে জর্জকে জিজ্ঞাসা করলো—কি হে ছোকরা ! টাকা এনেছো ? —টাকা ! মানে ? কিসের টাকা বলে তো ? কিসের টাকা মানে ? টাকা আবার কিসের হয় ? কেন, ফিলিপি কি টাকা পাঠায়নি তোমার হাত দিয়ে ? -टेक, न 6ड ! -না তো, মানে ? তবে কি জন্য এসেছে। এখানে ? রূপ দেখতে ? --তোমার সঙ্গে আমার কিছু দরকারী কথা আছে, নানা ! --দরকারী কথা পরে হবে । এখন ট্যাকে কিছু থাকে তো বের করে। দেখছে না, পাওনাদারের দল মৌমাছির মতো ছেকে ধরেছে! —কিন্তু টাকা তো আমার কাছে নেই। So