পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—নানার সঙ্গে আমার পরিচয় আছে! বলছে কি তুমি! আমি ধে এখনও দেখিই নি তাকে ! এই সময় আর একটি মেয়েছেলেকে আসতে দেখে লুসি বললো-এই যে ব্লান্সি আসছে ! ঐ ব্লান্সিই তো আমাকে বলেছে যে, নানার বাড়ীতে তোমার রীতিমত । আনাগোনা আছে! বলে তো তোমার সামনেই ডেকে জিজ্ঞেস করছি ওকে। ফুচেরি বললো-থাক আর কাউকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে হবে না। তোমাদের কি কেবল ঐ কথা ছাড়া আর কোন কথাই থাকতে নেই নাকি ? ব্লান্সি বলে যাকে বলা হ’ল, সে মেয়েটিও একটি বড় রকমের শিকারী। ওর শিকারের বেশির ভাগই বড় বড় রুই-কাতলা। আজও তার সঙ্গে যে লোকটি এসেছে, তাকে দেখে মোটা মঙ্কেল বলেই মনে হ’লে ওদের । ফুচেরি চুপি চুপি হেক্তরকে জিজ্ঞাসা করলো। ব্লান্সির সঙ্গের ঐ মক্কেলটিকে C5. হেকৃত্যুর বললো- না তো ! ফুচেরি বললে—তবে শোনো । ওর নাম হচ্ছে কাউণ্ট জেভিয়ার-দ্য- ॐांडी ! t কাউন্টের বাহুলগ্ন হয়ে ব্লান্সি ভিতরে চলে গেল। ব্লান্সির পেছনে পেছনে লুসিও চলে গেল ওখান থেকে । এই সময় ধোপদোরস্ত পোশাক-পরা সুন্দর চেহারার একজন যুবককে দেখতে পাওয়া গেল ভিড়ের মধ্যে। কে একজন টিল্পনি কেটে উঠলো-“ঐ দ্যাখে নানার পীরিতের নাগরী !” যুবকটির নাম ড্যাগনেট । এই বয়সেই মদ আর মেয়েমানুষের পেছনে বার্ষিক সাড়ে চার হাজার ফ্রাঙ্ক আয়ের সম্পত্তি ফুকে দিয়ে, কাপ্তেনের খাতায় নাম লিখিয়েছে সে। এদিকে টিকিট-বিক্রির জানালার সামনে তখন রীতিমত ভিড় জমে উঠেছে। সবাই ব্যস্ত আগে টিকিট কিনতে । s