পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে বললো—সেই থেকে এখনও বসে আছে ? তোমার দেখছি লজ্জাও নেই। শেষে কি চাকর ডেকে অপমান করে বের করতে হবে নাকি তোমাকে ? জর্জ বললো—তোমার যা ইচ্ছে। কিন্তু আমার কথার উত্তর তোমাকে দিতেই হবে আজ। বলো, তুমি আমাকে বিয়ে করবে কি না ? ܒ ܒ নানা জর্জের কথার কোন উত্তর না দিয়েই শোবার ঘরে ঢুকে পড়ে দরজা বন্ধ করতে গেল । জর্জ তখন তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে একহাতে দরজার পাল্লাটা ধরে বললোকি, আমার কথা শুনতেই চাও না তুমি ? —কি শুনবো তোমার ঐ সব পাগলের প্রলাপ ? তোমাকে অনেকবার বলেছি যে, আমার মন-মেজাজ ভাল নেই আজ। তবু কেন জ্বালাতন করছে বলে তো। দরজা ছাড়ে। আমি একটি শুয়ে পড়তে চাই এখন। নানার কথায় জর্জ আর কিছু না বলে হঠাৎ পকেটে হাত ঢুকিয়ে সেই কঁাচিখানা বের করে সজোরে নিজের বুকে বসিয়ে দিল । এই রকম একটা কাণ্ড যে ঘটতে পারে, নানা তা স্বপ্নেও ভাবেনি। সে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেল জর্জের এই কাণ্ড দেখে । সে এমনই বিহবল ও স্তম্ভিত হইয়া পড়েছিল যে, জর্জকে বাধা দেবার কথা ও তার মনে হ’লে না। তখন । জর্জকে এইভাবে বুকে কাচি বি দিয়ে দিতে দেখে ভুস হলো নানার। তার মনে হ’লে যে, জর্জ যদি এইভাবে তার দরজার সামনে মারে পড়ে থাকে, তা হ’লে পুলিস এসে তাকেই গ্রেফতার করবে। আগে। সে তখন বেশ একটু রাগের সুরেই বললো-মরতে হয় তো রাস্তায় গিয়ে মরগে । আমার বাড়ীতে মরে আর জালি ও না । জর্জ তখন কঁাচিখানা বুক থেকে টেনে তুলে ফেললোঁ। কঁাচিখানা বুক থেকে বেরিয়ে আসতেই ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটলে। সেই ক্ষতস্থান থেকে। 8v)