পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জো হাত থেকে গরম জলের গামলা আর তোয়ালেটা দুরজার কাছে নামিয়ে" রেখে গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে ঘষে রক্তের দাগ তুলতে তুলতে বললো— সত্যিই কাউণ্ট, এরকম সাংঘাতিক কাণ্ডের কথা আমার জীবনেও শুনিনি। . ব্যাপারটা এতই মর্মান্তিক এবং কাউণ্টের কাছে এই ব্যাপারটা এতই আকস্মিক যে, তার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হলো না। কাঠের নির্বাক পুতুলের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি। নানার দিকে তাকিয়ে কাউণ্ট দেখতে পেলেন যে, তার দু’ চোখ দিয়ে তখন টপ টপ করে জল পড়ছে। নানাকে কঁদতে দেখে কাউণ্ট সান্তুনা দিতে চেষ্টা করলেন তাকে । তিনি বললেন-কেঁদে কি করবে, নানা ? যার আয়ু ফুরিয়েছে, তাকে যেতেই হবে । কঁদিতে কঁাদতেই নানা বললো-কিন্তু তুমি জানো না, কাউণ্ট, জর্জ সত্যিই প্ৰাণ দিয়ে ভালবাসতো আমাকে । তোমার জন্যই তো আমি ওকে দূর দূর করে তাড়াতাম সব সময়। আজ জর্জ মরে গেছে তাই বলছি,-ওকে আমি সত্যিই ভালবাসতাম। যাক, আর তোমার সুখের পথে ও কোনদিন কাটা হয়ে আসবে না । জর্জ-জর্জ-ওহো হো হোদু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়লো নানা । কাউণ্ট সস্নেহে নানার চুলের উপর হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেনকেঁদো না, নানা ! জর্জ হয়তো মরেনি, চিকিৎসা করলে হয়তো বেঁচে যাবে ও । --বেঁচে যাবে! সত্যি বলছি তুমি ? বেঁচে যাবে জর্জ ? --হয়তো বাঁচবে। আমি এখনই যাচ্ছি মাদাম হিউজেনের বাড়ীতে । দেখি কি অবস্থা ওর । 张 兼 মাদাম হিউজেনের বাড়ীতে গিয়ে কাউণ্ট মাফাত, দেখতে পেলেন যে, তিনি যা অনুমান করেছিলেন, তা-ই ঠিক ! জর্জ মারা যায় নি। ডাক্তার নাকি ভরসা দিয়েছে যে, এ যাত্রা বেঁচে যাবে ও । ❖ 8 ዓ