পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাউণ্ট তখন মাদামকে সাস্তুনা দিয়ে আবার ফিরে এলেন নানার বাড়ীতে। কাউণ্টকে দেখেই নানা জিজ্ঞাসা করলো-কি রকম দেখলে ? বেঁচে আছে জর্জ ? -হঁ্য আছে ! ডাক্তার বলেছে যে, এ যাত্ৰা বেঁচে যাবে ও । কাউন্টের মুখে এই খবর পেয়েনানা একেবারে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল। মনীের ভাব গোপন রাখতে না পেরে খুশির আমেজে নাচতে সুরু করলে সে। জর্জ বেঁচে আছে ! এর চেয়ে ভাল খবর আর কী হতে পারে! এই সময় জো এসে বললো-রক্তের দাগগুলো যে যাচ্ছে না, দিদিমনি ? -না যায়, থাক। পায় পায় আপনিই উঠে যাবে। নানার এইরকম আনন্দ-উদ্বেলিত ভাব দেখে কাউন্টের রাগ হ’লে মনে মনে । জর্জের উপরেই গিয়ে পড়লো তার সব রাগ । “ছোড়াটা মরলেও ছিল ভাল”-এই রকম মনে হ’লো তার। - দু’ঘণ্টা আগেও কিন্তু কাউণ্টের মনের ভাব ছিল অন্যরকম। তিনি যখন নানার বাড়ী থেকে বের হয়ে মাদাম হিউজেনের বাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন, তখন র্তার বারবার মনে হচ্ছিলো যে, জর্জের মতো দশা তো তারও হতে পারে। তিনি যাবার পথে মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করলেন যে, নানার বাড়ীতে আর তিনি যাবেন না । কিন্তু মাদাম হিউজেনের বাড়ীতে পৌছে জর্জ বেঁচে আছে দেখেই তার মনের সেই অবস্থা বদলে গেল। জর্জকে দেখে তার প্রতি দয়া বা সহানুভূতির পরিবর্তে কাউণ্টের মনে এলো ঈর্ষা । তার কেবলই মনে হ’তে লাগলো যে, এই ছোকরাটার জন্যই নানা তাকে ভালবাসে না। কাউণ্টকে চুপ করে থাকতে দেখে নানা জিজ্ঞাসা করলো-কি গো ? চুপ করে বসে আছ যে বড় ? —চুপ করে থাকবো না তো কি তোমার মতে ধেই ধেই করে নাচবো নাকি ? কাউন্টের মনের ভিতরে তখন ঝড় বইছিলো । ՖՑԵ