পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুক্ষণ পরেই “শরীরটা ভাল লাগছে না” বলে কাউণ্ট বিদায় নিলেন। নানার কাছ থেকে । বাড়ীতে ফিরে এসেও কিন্তু শান্তি পেলেন না কাউণ্ট । তার মনে বারিয়ার একই কথা ঘুরে ফিরে আসতে লাগলো-“জর্জ ! জর্জই আমার পথের কঁাটা ।” এই ঘটনার কয়েকদিন পরে কাউণ্ট মাফাত একদিন দুপুরের পরে নানার বাড়ীতে আসতেই দেখতে পেলেন, নানার বাড়ী থেকে কাউণ্ট ফুকারমণ্ট বেরিয়ে যাচ্ছেন । কাউণ্ট ফুকারমণ্টকে নানার বাড়ী থেকে বেরুতে দেখেই কাউণ্ট মাফাতের মাথার মধ্যে আগুন জ্বলে উঠলো। রাগে আগুন হ’য়ে তিনি তাড়াতাড়ি সিড়ি ভেঙে দোতলায় উঠতে লাগলেন। তঁর উত্তেজনা এত বেশী হয়েছিল যে, দোতলায় উঠতে বারদুয়েক হেঁচটও খেলেন তিনি। দোতলায় উঠে সোজা নানার ঘরে গিয়ে বেশ একটু উস্মার সঙ্গেই জিজ্ঞাসা করলেন তিনি-ফুকারমণ্ট এখানে এসেছিল কেন ? কাউণ্টের কণ্ঠস্বরের তীব্রতায় নানা প্রথমটা একটু বিব্রত বোধ করলেও পরীক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে উত্তর দিলে সে,-হঁ্যা, এসেছিলেন, কি ठू6श्नgछ ऊाgठ ? —তার মানে ? তুমি তা হ’লে ওর সঙ্গেও চালাচ্ছে ? -চালাচ্ছিই তো! আরও কিছু শুনতে চাও? কাউণ্ট ফুকারমণ্টকে আমি ভালবাসি । --কি বললে ? -কেন শুনতে পাওনি নাকি ? কাউণ্ট ফুকারামণ্ট এখানে আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। এতে যদি তোমার কোন আপত্তি থাকে, তা হ’লে দরজা খোলা আছে, সোজা চলে যেতে পারো ! S8)