পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানার, এই সোজাসুজি অপমানেও কিন্তু কাউণ্ট গেলেন না। ওখান থেকে, যেতে পারলেন না। তিনি। প্রেমের কারবারে নিজেকে দেউলে মনে হ’লো তার । তিনি তখন নরম হ’য়ে নানারকম মিষ্টি কথা বলে তোষামোদ করতে ८%८2ा• न|-ाgद | কাউন্টের রকম-সকম দেখে নানার বুঝতে দেরি হলো না যে, “উনি একেবারেই মরেছেন !” এই ঘটনার পর নানা প্ৰায় প্রতিদিনই অপমান করতে লাগলো কাউণ্ট মাফাতকে । এতদিন তার মনে কাউণ্ট সম্বন্ধে যদিও বা একটু ভয় ছিল। এরপর আর তা মোটেই থাকলে না। সে তখন রীতিমত দোকান খুলে বসলো বাড়ীতে। কিছুদিনের মধ্যে সারা প্যারী শহরের গণ্যমান্য লোকেরা সবাই আনাগোনা করতে লাগলো নানার সেই প্রেমের দোকানে । এই সময়টাকেই নানার জীবনের সবচেয়ে উদ্দাম অবস্থা বলা যেতে পারে। একের পর এক লক্ষপতির দল তাদের আজীবনের সঞ্চয় রিক্ত করে ঢেলে দিতে লাগালো নানার রূপের আগুনে । কাউণ্ট মাফাতের এই সময়কার মনের অবস্থা একেবারে অবর্ণনীয়। তিনি যখন দেখলেন, তারই দেওয়া বাড়ীতে বসে এবং তারই মাসোহারায় যাবতীয় খরচ চালিয়ে প্রকাশ্যে বেশ্যাবৃত্তি করা সুরু করে দিয়েছে নানা, তখন তিনি একেবারেই মুহাম্মান হয়ে পড়লেন। কিন্তু তার অবস্থা তখন এমনই কঠিন যে, নানাকে মুখ ফুটে একটা কড়া কথা বলবারও তার সাহস ছিল না। তার সব সময়ই ভয় হ’তো যে, বেশী কিছু বললেই নানা তাকে আর তার বাড়ীতে ঢুকতে দেবে না। এইবার সুরু হয়ে গেল। মক্কেল-বধের পালা । so