পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথমেই ঘায়েল হলেন কাউণ্ট ফুকারমণ্ট । এই কাউণ্ট মশাই কিছুদিনের মধ্যেই তার যাবতীয় ধনসম্পত্তি নানার বাড়ীতে ফুকে দিয়ে একেবারে ফতুর হ’য়ে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হ’লেন। দেনায় আর অর্থকষ্টে চোখে সরষে ফুল দেখে অবশেষে কোন জাহাজে সামান্য মাইনেতে এক নাবিকের চাকুরি জুটিয়ে দেশান্তরে পাড়ি দিলেন তিনি। আরও কিছুদিন পরে খবর পাওয়া গেল যে, ফুকারামণ্ট নাকি জাহাজ থেকে সমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর পরেই এলো স্টিনারের পালা । স্টিনার তখন এক লিমিটেড কোম্পানি খুলে সমানে লোককে ঠকিয়ে চলছিল। বসফরাস প্ৰণালীর তলা দিয়ে সুড়ঙ্গপথ তৈরি করে ফ্রান্সের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ধারা পালটে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে বহু লক্ষ ফ্রাঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছিল। সে । কিন্তু যত টাকাই সে রোজগার করুক না কেন, নানার ফার্নেসের আগুনে সে টাকা পিচকারীর জলের মতো বাস্প হ’য়ে উড়ে যেতে দেরি হলো না । মিটনার দেউলে হ’লো । নানা যখন টের পেলে যে, স্টিনারের রসদ ফুরিয়েছে, সে তখন তাকে ছেড়া ন্যাকড়ার মতো দূরে ফেলে দিল । কয়েকদিন পর এক সন্ধ্যায় স্টিনার এসে নানার কাছে ভিখিরীর মতো হাত পেতে দাড়ালে। মাত্র একশ’টি ফ্রাঙ্ক চেয়ে । স্টিনার বললে যে, মাত্র একশ’ ফ্রাঙ্কের জন্য সে নাকি পুলিসের হাতে ধরা পড়তে চলছে। নানা তাকে টাকাটা দিল বটে, কিন্তু বলে দিল যে, সে যেন আর কোনদিন তার কাছে এভাবে টাকা চাইতে না আসে। স্টিনারের পরেই এলো হেক্তরের পাল। তরের কিছু সম্পত্তি ছিল। সে তার যাবতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে নানার বাড়ীতে কাপ্তোনি করতে এসে কয়েকদিনের মধ্যেই সর্বস্ব ফুকে দিল। তার ছাপাখানাটাও বিক্ৰি হ’য়ে গেল দেনার দায়ে । সে তখন আর উপায়ান্তর SS