পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* থিয়েটার আরম্ভ হবার ঘণ্টা বেজে উঠলো। হেক্তর ফুচেরিকে একরকম টানতে টানতে ভিড় ঠেলে প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে ঢুকে পড়লো। স্টেজের । সামনের আলোগুলো জ্বলে উঠেছিল তখন। অডিটোরিয়াম ভরতি হয়ে গিয়েছিল। ব্যাপার দেখে একটু সীট’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সারা প্যারী শহরের শৌখিন সম্প্রদায় আজ ভেঙে পড়েছে ভ্যারাইট থিয়েটারে। ধনী, বিলাসী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, অব্যবসায়ী সবাই। হেকতর আশ্চর্যান্বিত হয়ে লক্ষ্য করছিল এই অভূতপূর্ব জনসমাবেশ। হঠাৎ একটা বক্সে একজন মহামান্যবর লোককে দেখে হাত তুলে অভিবাদন জানালো সে। ফুচেরি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলে-কাউণ্ট মাফাত-এর সঙ্গে তোমার চেনা আছে নাকি ? —নিশ্চয়ই। ওঁকে তো আমি ছেলেবেলা থেকে চিনি। আমাদের বাড়ীর কাছে যে ওঁর জমিদারি ! ওঁর বাড়ীতে তো আমি প্রায়ই যাই । ফুচেরি লক্ষ্য করলে যে, কাউণ্টের সঙ্গে তার স্ত্রী কাউণ্টেস স্যা বাইন আর র্তার শ্বশুর “মাকুইস-দ্য-কুয়ার্দীও আছেন। বুড়ো মাকুইসের রাজদরবারে বিশেষ প্ৰতিষ্ঠা আছে, সে-কথা ভাল করেই জানতো ফুচুেরি ! এই রকম জাদরেল লোকদের সঙ্গে চেনা-পরিচয় থাকলে অনেক কিছু সুবিধে হয়, এই বিবেচনায় সে বললো-আমাকে কাউণ্ট-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দাও না ? হেকৃতির বললো-বেশ তো ! অঙ্ক শেষ হলেই তোমাকে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করে দেবো ’খন। " কাউন্টের সঙ্গে পরিচয় করবার আরও আগ্রহ হয় সম্পাদকের-কাউন্টেসকে দেখে। কাউন্টেস-এর চেহারার ভিতরে এমন কিছু দেখতে পায় সে, যাতে তার মনে হয় যে, ওখানে টোপ ফেললে কাজ হওয়া সম্ভব ! ঐকতান বাজনা থেমে গেল।