পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না দেখে একদা নৈশ অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে প্যারী থেকে পালিয়ে চলে গেল। কোন এক পল্লীগ্রামে নাকি তার কে এক আত্মীয় ছিল, তার বাড়ীতেই গিয়ে হাজির হলো সে। • এই ডামাডোলের বাজারে ‘ফিগারো-সম্পাদক মাসিয়ে ফুচেরির খবরটা নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা হচ্ছে আপনাদের। ফুচেরি যে পাখোয়াজ লোক, সে খবর নূতন করে বলবার দরকার হবে না নিশ্চয়ই! সে যখন দেখলে যে, হেক্তর নানার বাড়ীতে যাতায়াত সুরু করেছে, তখনই সে বুঝতে পেরেছিল যে, ওর হয়ে এসেছে। তাই সে সময় থাকতেই আর একটি ফিনান্সিয়ারকে বধ করে এক নূতন ছাপাখানা আর পত্রিকা খুলে বসলো। কাউণ্টেস স্যাবাইনকে সে ছেড়ে দিয়েছিল। সে তখন রোজির সঙ্গে প্রেম চালাচ্ছিলো তার স্বামীর সঙ্গে পার্টনারশিপে। মাসিয়ে মিগনন বোধ হয় ‘স্ত্রী- ভাগ্যে ধন'-এই প্রবাদবাক্যটিতে বিশ্বাসী ছিলেন। শুনতে পাওয়া যেতো যে, মাসিয়ে মিগনন নাকি তার স্ত্রী আর সম্পাদক সাহেবের সুখের জন্য সর্বদাই তাদের ফাই-ফরমাস খাটতো। এটা পাত-চাটা যে-সব কুকুরের অভ্যাস, তারা যেমন হাজার ভাল খাবার পেলেও এটো পাত দেখলেই চাটবার লোভ সামলাতে পারে না, সম্পাদক সাহেবের স্বভাবটিও ছিল ঠিক সেই রকম। রোজির বাড়ীতে স্বামী-আদরে (?) থাকলেও সুযোগ পেলেই সে ছুটতো নানার বাড়ীতে। সে তার নূতন মক্কেলের ঘাড় ভেঙে টাকা এনে অঞ্জলি দিতে নানার শ্ৰীচরণে। কিন্তু নানার আবদারের ধাক্কা সামলাতে সেও একদিন তার ফিনান্সিয়ারকে পথে বসিয়ে তার ছাপাখানাটি বিক্রি করে ফেললো । (tR