পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার ধারণা যে, তার অনুপস্থিতিতে নানা বোধ হয় খুবই অসুবিধা ভোগ করছে টাকার অভাবে। ' ' নানার বাড়ীতে তিনি যখন হাজির হলেন, তখন বেশ একটু রাত হয়েছে। ওখানকার সদর দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন। সদর দরজা বন্ধ দেখে কাউন্ট বাড়ীর পেছনের খিড়কি-দরজা দিয়েই ঢুকে পড়লেন। এখানে উল্লেখ করা প্ৰয়োজন যে, খিড়কি-দরজার একটা চাবি সব সময়ই কাউণ্টের কাছে থাকতো । vr হঠাৎ বলা নেই-কওয়া নেই, অতো রাত্রে কাউণ্ট মধুফাতকে দেখে জো কেমন যেন দিশেহারা হয়ে পড়লো । সে তাড়াতাড়ি কাউণ্টের কাছে গিয়ে র্তাকে নানার ঘরে না। ঢুকতে অনুরোধ করলো। সে বললো-আপনি এখন দিদিমনির ঘরে যাবেন না কাউণ্ট ! -কেন বলে তো ? --না, মানে দিদিমনি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন, তাই। কাউণ্ট বাধা দিয়ে বললেন-না ! আমার এখনই দেখা করা দরকার নানার সঙ্গে । আমার সঙ্গে অনেকগুলো টাকা রয়েছে। টাকাগুলো আমি নানার কাছে রেখে যেতে চাই। জো বিব্রত হয়ে উঠলো কাউণ্টের কথায় । সে বললো-কিন্তু সেটা কি ঠিক হবে ? --নিশ্চয়ই ঠিক হবে। তুমি পথ ছাড়ে। জো’র কথায় কান না দিয়ে কাউণ্ট নানার ঘরের দিকে গেলেন । নানার ঘরের দরজাটা ভেজানো রয়েছে দেখে কাউণ্ট ধাক্কা দিয়ে দরজাটা খুলে ফেললেন। কিন্তু দরজা খুলেই যে দৃশ্য দেখলেন, তাতে একেবারে বিস্ময়ে হতবাক্‌ হয়ে গেলেন তিনি। র্তার মুখ দিয়ে শুধু একটি মাত্র কথা বের হ'লে-“ভগবান!” A Ve