পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি দেখলেন যে, নানার খাটের উপরে নানার বুকে মাথা' রেখে শুয়ে আছেন তারই শ্বশুর-মাকুইস-দ্য-কুয়ার্দ ! কাউণ্টকে দেখে নানা কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে হেসে বললো-মাত্র চার হাজার ফ্রাঙ্কের জন্য তোমাকে জমিদারি বিক্রি করতে মফঃস্বলে ছুটতে হয়েছিল। কিন্তু মাকু ইস ও টাকাটা এখান থেকেই দিয়েছেন আমাকে। এখন থেকে মাকু ইসই আমার দেখাশোনার যাবতীয় ভার নিয়েছেন, বুঝলে ? : কাউণ্ট মাফাত কিছুক্ষণ স্থানুর মতো দরজার সামনে দাড়িয়ে থেকে নিঃশব্দে পিছন ফিরে সিড়ির দিকে চলতে লাগলেন। আর এক মুহুৰ্তও নানার বাড়ীতে থাকতে ইচ্ছা হচ্ছিল না তার। ওখানকার বাতাসে যেন বিষ মেশানো আছে বলে মনে হ’তে লাগলো তার । তিনি পাগলের মতো সিড়ি দিয়ে নেমে খিড়কির দরজা দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন । নানার ঘরে শ্বশুরমশাইকে দেখা অবধি তিনি কি যে করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এক একবার আত্মহত্যা করতেও ইচ্ছা হচ্ছিলো তার। পাগলের মতো টলতে টলতে রাস্তা দিয়ে চলছিলেন তিনি। কখন যে বাড়ীতে পৌছেছেন, সে খেয়ালও তার ছিল না হয়তো। হঠাৎ পিছন থেকে পিঠের উপরে কার হাত পড়তেই চমকে উঠলেন। তিনি। ফিরে তাকাতেই তিনি দেখলেন-মাসিয়ে ভেনো দাড়িয়ে । মাসিয়ে ভেনোকে দেখে কাউণ্ট আর নিজেকে সংবরণ করতে পারলেন না। তিনি তঁার একখানা হাত ধরে বললেন-আপনি আমাকে রক্ষা করুন। ঐ রাক্ষসী সর্পিনীর কবল থেকে আপনি আমাকে বােচান! মাসিয়ে ভেনে কাউণ্টকে তার বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বললেন-বিপদে অধৈৰ্য হ’তে নেই, কাউণ্ট । ভগবানের উপরে বিশ্বাস রাখুন, তিনিই আপনাকে রক্ষা করবেন । কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মাসিয়ে ভেনো আবার বললেন-একটা নিদারুণ দুঃসংবাদ শুনবার জন্য হৃদয়কে দৃঢ় করুন, कांटें । S(t ግ