পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরদিন সকালে লা-বোর্দেত এসে খবর দিয়ে গেল-জর্জ মারা গেছে। খবরটা শুনেই নানার বুকের ভিতরে ধড়াস করে উঠলোঁ। . ** সে বললো—কি বললে ? জর্জ মারা গেছে ? . অনিচ্ছাসত্ত্বেও কে যেন তার দৃষ্টিকে টেনে নিয়ে গেল জর্জের রক্তমাখা।” কার্পেটের সেই জায়গাটিতে। রক্তের সেই দাগটার দিকে অনেকক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো নানা। তারপর হঠাৎ কেঁদে উঠলো—জর্জ! প্রিয়তম জর্জ ! আমার জন্যই তুমি প্ৰাণ দিলে ! 兼 兼 兼 জর্জের মৃত্যুসংবাদ শোনবার পর থেকেই নানা যেন কেমন হ’য়ে গেল। সে সব সময়ই আনমনা হ’য়ে থাকতো। রাজ্যের চিন্তা এসে তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলতো একা থাকলেই। কখনও কখনও তার মনে হ’তো-সে বুঝি জেগে জেগেই স্বপ্ন দেখছে। এক রাত্রে সে স্বপ্ন দেখলে যে, তার অতুল ঐশ্বর্যের চারিদিকে কেবলই যেন মরা মানুষের হাড়গোড় আর মাথার খুলি ছড়িয়ে রয়েছে। তার বিছানা, বাক্স, দেরাজ, আলমারি, পোশাক-পরিচ্ছদ সবই যেন স্থূপীকৃত নরকঙ্কাল আর গলিত মৃতদেহের স্তৃপ। এই নারকীয় পরিবেশের মধ্যে নানা একা! নানার মনে পড়লো যে, তারই জন্য কাউণ্ট ভাদোভো আগুনে পুড়ে মরেছে, ফুকারামণ্ট দেউলে হয়ে সমূত্রে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দিয়েছে, ব্যাঙ্কার স্টিনার আজ পথের ভিখিরীরও অধম। হেক্তর দেনার দায়ে পলান্বিত, ফিলিপি জেলে পচিছে, জর্জ আত্মঘাতী এবং প্যারীর শ্ৰেষ্ঠ অভিজাতদের অন্যতম কাউন্ট মাফাত আর তার পরিবারের সুনাম আজ লোকচক্ষে হেয় । কী ভয়ানক ! কী ভয়াবহ পরিণতি এদের ! নানার মনে হ’লে যে, এদের এই পরিণতির জন্য একমাত্র সে-ই দায়ী । So