পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এরপর থেকেই আবার শহরের লোকদের মুখে মুখে ফিরতে লাগলো গেইট থিয়েটার আর নানার নাম। এইভাবে গেইট থিয়েটার আবার যখন জমজমাট হয়ে উঠেছে, সে সময় একদিন একটা সামান্য কথা নিয়ে ম্যানেজারের তর্কাককি হ’লো নানার সঙ্গে । তার দু'দিন পরেই উধাও হ’লে নানা । যেদিন নানা চলে গেল, সেদিনও তার অভিনয় করবার কথা ছিল । অগণিত দর্শক এসেছিল নানার অভিনয় দেখবার আকুল আগ্রহ নিয়ে, কিন্তু তারা যখন জানতে পারলে যে, নানা অভিনয় করবে না, তখন তারা ম্যানেজারের চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করে চলে গেল থিয়েটার না দেখেই। কয়েক মাস পরে । নানার কথা লোকে প্ৰায় ভুলেই গিয়েছিল। তবুও নানার বন্ধুবান্ধব আর চেনা-জানা লোকের মাঝে মাঝে তার সম্বন্ধে খবরাখবর নেবার চেষ্টা করতে । নানার সম্বন্ধে গুজবের নৌকা শুকনো দিয়ে চলতে সুরু করছিল। কেউ কেউ বলতে যে, নানা নাকি কোন এক বড়লোকের ছেলেকে বিয়ে করে সতীসাধৰী স্ত্রী হয়ে সংসারধর্ম পালন করছে ! আবার কেউ কেউ বলতে যে, সে নাকি এক রাজাকে বিয়ে করে রানী হয়ে বসেছে মাদাগাস্কার না মধ্য এশিয়ায় । আর একদিন কে একজন খবর দিল যে, নানা নাকি এক কাফ্রীর পীরিতে দেশছাড়া হয়েছে। কাফ্রীর প্রেমের ঠেলায় নানা নাকি এখন কায়রোর পথে পথে ভিক্ষে করে ফিরছে। আর একদিন শোনা গেল যে, নানা সত্যিই রানী হয়েছে। রাজাবাহাদুর নাকি নানাকে হীরে-মুক্তো আর সোনা দিয়ে একেবারে মুড়ে দিয়েছেন। নানা যে হীরেগুলো সবসময় পরে থাকে, তার প্রত্যেকখানার দামই নাকি कcधक कॉर्थ अगई । ANAR