পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-হঁ, ভাই। যাবে তুমি ? r — গীতা গেলে হয়। চলো, তা হ’লে একসঙ্গেই যাওয়া যাক। কেরোলিনা উঠে আসে লুসির গাড়ীতে। গ্র্যাণ্ড হােটেলের সামনে গাড়ী দাড় করাতেই পারে না। ওরা। অসংখ্য লোক তখন রাস্তা আর ফুটপাথ বন্ধ করে হল্লা করতে করতে ছুটিছিল। এই হাল্লা আর চিৎকারের কারণ এই যে, ঐ দিনই জার্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফ্রাক্ষস । ফ্রান্সের আইনসভায় যুদ্ধ-ঘোষণার প্রস্তাব পাস হ’তেই সারা প্যারী যেন হঠাৎ উন্মত্ত হয়ে উঠলো। জনতার মুখে তখন একই স্লোগান—“চলো यांलिन !” লুসি আর কেরোলিন অনেক কষ্টে ভিড় ঠেলে গ্র্যাণ্ড হোটেলের দরজার সামনে আসতেই মিগননের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল তাদের। তাকে দেখে লুসি জিজ্ঞাসা করলো-নানা কেমন আছে এখন ? মিগনন বললো-কেমন আছে, তা আমি কি করে জানবো ? আমি কি তার ঘরে গেছি নাকি ? --তবে ? প্রশ্ন করলো লুসি। -তবে আবার কি ? আমার বিপদ হয়েছে রোজিকে নিয়ে। ও যে সেই কাল এসে নানার ঘরে ঢুকেছে, তার পর আর বেরোবার নামও করছে না ! কি বিপদ বলে দেখি ? ? ওদের যখন এইসব কথাবার্তা হচ্ছিল, সেই সময় সম্পাদক মশাইকে দেখা গেল ওদের দিকে আসতে । তাকে দেখেই মিগনন বললো—দেখুন দেখি কি বিপদ! এই সব সাংঘাতিক ছোয়াচে রোগের কাছে আবার কেউ যায় নাকি ? SV8