পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ट्रे থিয়েটারের পরদিন । বেলা ন’টা বেজে গেল, কিন্তু নানা তখনও বিছানায় পড়ে ঘুমুচ্ছে। প্যারীর বুলভার্দ হাউসম্যান পল্লীর একখানি নূতন বাড়ীর সম্পূর্ণ দোতলাটা ভাড়া নিয়েছিল নানা। বাড়ীটা অবশ্য নানা নিজের টাকায় ভাড়া করেনি। কিছুদিন আগে এক রাশিয়ান মক্কেল জুটেছিল তার, বাড়ীটা সে-ই ভাড়া করে দিয়েছিল। দোতলায় ঘর ছিল অনেকগুলো । কিন্তু ঘর বেশি থাকলে কি হয়, নানার বাড়ী যেন ছিল বিশৃঙ্খলার রাজত্ব। আসবাবপত্র যে ছিলনা তা নয়, কিন্তু সেগুলো দেখলে নানার রুচিজ্ঞানের দৈন্যই প্রকাটিত হতো। খুব হীন অবস্থার কোন লোক হঠাৎ টাকা পেলে যেমন যা খুশি কেনে, নানার বাড়ীর আসবাবপত্র দেখলেও অনেকটা সেইরকম ग:न् श्ङी । অন্যান্য ঘর থেকে নানার শোবার’ ঘর আর বসবার ঘর দুটো কিছুটা ভাল করে সাজানে । জানালা দিয়ে রোদ এসে বিছানায় ছড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু নানা তখনও ঘুমিয়ে। দুহাত দিয়ে মাথার বালিশটাকে জড়িয়ে ধরে উপুড় হয়ে ঘুমূচ্ছিল সে। কিছুক্ষণ পরে ঘুম ভাঙলো নানার। ঘরের চারদিকে তাকিয়ে কাকে যেন খুজিলো সে একবার, কিন্তু কাউকে না দেখতে পেয়ে ঘুম-জড়ানো চােখেই খাটের পাশের কলিং বেলটা টিপে ধরলো । S\D