পাতা:নানা রচনা - এমিল জোলা.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে তো আর ছেলেকে কাছে রাখা চলে না, তাই সে লুইকে এক ধাত্রীর প্ৰফাজতে রেখেছিল শহর থেকে দূরে কোন এক পাড়াগাঁয়ে। লুইর বয়স খঞান পাঁচ বৎসর । ধাত্রীকে অনেক দিন যাবৎ কোন টাকাকড়ি দিতে পারেনি। নানা । তাই সে বিশ্বভক্ত হয়ে বলে পাঠিয়েছে যে, তার প্রাপ্য তিনশ’ ফ্রাঙ্ক মিটিয়ে দিয়ে নানা gছন তার ছেলেকে নিয়ে যায় । উপায়ান্তর না দেখে লুইকে সে তার মাসির বাড়ীতে রাখবে ঠিক করে জ্ঞািন্ত্রকে খবর পাঠিয়েছিল। তারও আসবার দিন আজই। এই সব কথা ভাবতে ভাবতে বিছানা থেকে উঠে নানা তার অসংবৃত জয়ম-কাপড় ঠিক করে নিয়ে একখানা টেবিলের সামনে বসে জমা খরচ লিখতে আৱম্ভ করলো। অনেক কাটাকুটি করেও সে দেখলে যে, কমপক্ষে পাচ হাজার ফ্রাঙ্ক তার চাই। অথচ হাতে তার তখন দশ ফ্রাঙ্কও নেই। জো বললো-কি অতো লিখছে। দিদিমণি ? নানা সে কথার কোন উত্তর না দিয়ে বললো—অন্ততঃ চারশ’ ফ্রাঙ্ক আমার অম্বুজই চাই। কোথায় পাই টাকাটা বলতে পারিস ? -ছিনে জোকের কাছে যাওনা ! -ওর কাছে একশ’ বার চেয়ে দেখেছি, কিন্তু ঐ হাড়-কাণ্ডুসের কাছে ফসের বরাদ্দ এক হাজার ফ্রাঙ্কের বেশি একটি পয়সাও আদায় করা যাবে না। ঠিক এই সময় কলিং বেলের আওয়াজ শুনে নানা চমকে উঠে বললোস্বাধতো জো, কে আবার এলে এই সময় ? পাওনাদার-টাওনাদার হলে ৰূলৰি যে, দিদিমণি বাড়ীতে নেই, বুঝলি ? জো ঘরের বাইরে গিয়ে সদর দরজা খুলে দিতেই দেখলে যে, মাদাম টিকান এসেছে। মাদাম টুি কনকে দেখেই সাদরে অভ্যর্থনা করে ভিতরে নিয়ে এলো সে । অকে। এইভাবে অভ্যর্থনা করবার কারণও ছিল । a v.